টুকরো খবর
ঘেরাও স্কুল পরিদর্শক
একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে দাঁতনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শককে তালাবন্দি করে রাখলেন শ’দেড়েক শিক্ষক। সোমবার সকাল এগারোটা নাগাদ দফতরে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সোমবার নির্মল বিদ্যালয় অভিযান নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন দাঁতন চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ধৃতিগোবিন্দ বাসুরি। শিক্ষকরা এলেও তাঁদের মধ্যে একাংশ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মূলত কর্মরত শিক্ষকদের দূরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়েই অভিযোগ জানান তাঁরা। দাঁতনের পুনমচাঁদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্দ্রমোহন মাহাতো বলেন, “গোটা ব্যাপারটায় একটা অরাজকতা চলছে। বিদ্যালয় পরিদর্শকরাও কোনও তথ্য দিতে পারছেন না।” ধৃতিগোবিন্দবাবুর বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। বামনদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক শিট বলেন, “পরিদর্শক আমাদের প্রয়োজনীয় হিসেব দেন না।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও ধৃতিগোবিন্দবাবু মেনে নিয়েছেন, “ব্লকের অনেক শিক্ষককে দূরের জেলায় পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকদের ক্ষোভ হওয়াই স্বাভাবিক। আমার কাছে এ বিষয়ে তথ্য না থাকায় শিক্ষকদের আমি জানাতে পারছিনা।” বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুক্ত হন ওই পরিদর্শক।

জলের দাবিতে পথ অবরোধ
পানীয় জলের দাবিতে খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ রোড অবরোধ করলেন এলাকার মানুষ। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে অবরোধ চলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান জল দফতরের ভারপ্রাপ্ত পুরপ্রধান পারিষদ সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাসেই অবরোধ ওঠে। গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল সঙ্কট শুরু হয়েছে। মালঞ্চ, খরিদা প্রভৃতি এলাকায় জল সঙ্কট চলছে। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মালঞ্চ রোডে অবরোধ শুরু হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, পুরসভা অনিয়মিত জল সরবরাহ করছে। গত সপ্তাহে দু’দিন জল আসেনি। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেও পর্যাপ্ত জল মিলছে না। পুর-কর্তৃপক্ষের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, পুরসভা বাড়িতে বাড়িতে যে নলবাহী পানীয় জল সরবরাহ করে সেই নলের মুখে পাইপ লাগিয়ে পাম্প মেশিনের সাহায্যে অনেকে সেই জল জলাধারে তুলে নেন। এভাবে জল ‘চুরি’ চলে খড়গপুরে। ফলে জল না-পেয়ে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়। ঘটনাস্থলে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন সুশান্তবাবু। তাঁর আশ্বাস, “সমস্যা সমাধানে পুরসভা পদক্ষেপ করছে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “রবিবার বিকেল থেকে কেশপালে দু’টি পাম্প অচল হয়ে পড়েছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে কিছু এলাকায় জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। সোমবার থেকে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”

বিক্ষোভের মুখে পড়ে জখম পুলিশ
অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে একাংশ গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশ। লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা হল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও লাঠিচার্জ করল। গ্রেফতার করা হল ৯ জনকে। সোমবার এমনই ঘটল খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চকমকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওয়ার্দায়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাসের বক্তব্য, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।” স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওয়ার্দা প্রাথমিক স্কুলের রান্নাঘর ঘিরে বেশ কয়েক মাস ধরেই গোলমাল চলছে। রান্নাঘরটি খাস জায়গার উপর রয়েছে। একাংশ গ্রামবাসী জায়গাটির দখল নিতে তৎপর। আগেও রান্নাঘরে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সেই তালা খোলার ব্যবস্থা করে। গত শুক্রবার সকালে রান্নাঘরটিই ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বুরাই মুর্মু খড়্গপুর লোকাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়ে রান্নাঘর ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে ওই দিন গ্রামে যায় পুলিশ। সেই সময়ও একাংশ গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সোমবার সকালে গ্রামে গেলে একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় পুলিশকে। পুলিশ কর্মীদের লক্ষ করে ইঁট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ৩ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ৫ জন মহিলা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বধূ নির্যাতন, স্বামী গ্রেফতার
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দাঁতন থানা এলাকার কুহুড়া গ্রামের বাসিন্দা ধৃত গণেশ পাত্রকে সোমবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে কোটপাদা গ্রামের টুনির সঙ্গে বিয়ে হয় গণেশ পাত্রর। অতিরিক্ত পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গ্রামস্তরে বারবার সালিশি করে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। রবিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে। শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক।

হল না সাক্ষ্যগ্রহণ
এক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য বিচারক জেলার বাইরে থাকায় সোমবার জ্ঞানেশ্বরী মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল না মেদিনীপুর আদালতে। মামলাটি চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম দাসের এজলাসে। প্রথম পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছিল ৮ এপ্রিল। অর্থাৎ সোমবার। ঠিক ছিল, সোমবার থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত।

কবি স্মরণ
প্রয়াত কবি ভূদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে ডুলুং পত্রিকার উদ্যোগে স্মরণসভার আয়োজন করা হল। রবিবার অনুষ্ঠানটি হয় খড়্গপুরের ট্রাফিক এলাকায়। ভূদেববাবুর বাড়ি ছিল খড়্গপুর শহরেই। সাহিত্যচর্চার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত ছিলেন। ডুলুং পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন। পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘নেই ও অন্যান্য কবিতা’ প্রকাশও করা হয়েছিল। মাত্র ৪০ বছর বয়সেই ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এ দিনের অনুষ্ঠানে দীপক বসু, অশোক মুখোপাধ্যায়, নন্দদুলাল রায়-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন।

গাড়ি উল্টে জখম
গাড়ি উল্টে জখম হলেন ১৫ জন শ্রমিক। সোমবার দুপুরে দিঘা যাওয়ার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর, বেলদা থানার শ্যামপুরায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি গাড়িতে করে ওই ১৫ জন শ্রমিক দিঘা যাচ্ছিলেন। শ্যামপুরার কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জখম শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.