ব্যান্ডেলের কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ান খুনের ঘটনায় রবিবার রাতে হুগলির মগরা এবং বর্ধমানের জামুরিয়া থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কিছু কার্তুজ ছাড়াও একটি ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা খুনে জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে।
ধৃতদের নাম সঞ্জয় রাজবংশী ওরফে হিড্ডা, মহম্মদ ইব্রাহিম, আবুল হোসেন ওরফে সান্টিয়া, রামু মুদালিয়া, সনু আনসারি, এবং রজক আলি। প্রথম দু’জনের বাড়ি ব্যান্ডেলে। রজক মগরার বাসিন্দা। বাকিরা ভদ্রেশ্বরে থাকে। সকলের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি-সহ নানা দুষ্কর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
উদ্ধার অস্ত্র। ছবি: তাপস ঘোষ। |
পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “ধৃতদের জেরা করে ওই খুন ছাড়াও জেলার বেশ কিছু অপরাধের একই সঙ্গে কিনারা করা সম্ভব হবে।” ধৃতদের সোমবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক প্রত্যেককেই সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত বছর ১৪ অগস্ট রাতে ৮টা নাগাদ ব্যান্ডেলের লোকো-শেডে দলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কাছের একটি পানের দোকানে যাওয়ার সময়ে মোটরবাইকে চড়ে আসা দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন স্থানীয় গ্রিন পার্ক এলাকার বাসিন্দা, কংগ্রেস নেতা দিলীপ পাসোয়ান। তিনি মালগাড়িতে মাল ওঠানো-নামানোর ঠিকাদারের কাজ করতেন।
ওই ঘটনার পরে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস। চুঁচুড়া থানার আইসি নির্মল যশের নেতৃত্বে রবিবার রাতে মগরার মিঠাপুকুরের বড় খেজুরিয়ার বাসিন্দা রজক ওরফে বাপির গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে হিড্ডা ও তিন শাগরেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধরা হয় রজককেও। ধৃতদের জেরা করে ওই রাতেই হিড্ডার ‘ডান হাত’ সান্টিয়াকে জামুরিয়ায় তার শ্যালিকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। |