আগুনে পুড়ে গেল ৩৫টি দোকানঘর। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ টাউন থানার কেষ্টপুরের প্রমোদগড় এলাকায়। কেউ হতাহত না হলেও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে দোকানগুলি। পিছনে দোকানদারেরা যে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে ছিলেন, সেগুলিও পুড়ে গিয়েছে। দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টায় আগুন নেভায়। লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা ওই দোকানদারদের।
দোকানগুলি বাগজোলা খালের ধারে। মুদির দোকান থেকে শুরু করে, চা, সব্জি, সেলুন, ইলেক্ট্রিকের দোকান, কাঠের গুদাম ইত্যাদি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু হালদার বলেন, “রাতে চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেল। এসে দেখি দোকানগুলি দাউদাউ করে জ্বলছে। হাওয়ায় আগুনের শিখা ক্রমশই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এমনকী, রাস্তার অন্য পাড়ে গাছগুলিতেও আগুন ধরে যায়।” |
দোকানের পিছনে অস্থায়ী ঘরে অনেক দোকানদারই সপরিবার থাকেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের অনেকে ওই রাতে ঠাকুরনগরের মেলায় গিয়েছিলেন। মুষ্টিমেয় কিছু পরিবার দোকানের ভিতরে ছিল। এ রকমই এক দোকানদার বিকাশ হালদারের কাঠের দোকান। তিনি বলেন, “কোনও রকমে পরিবারের সকলকে নিয়ে বেরিয়েছি। আমরা প্রাণে বাঁচলেও দোকানটা বাঁচাতে পারিনি। বাড়িতে রাখা টাকা, গয়না সব পুড়ে গিয়েছে।” স্থানীয়েরা জানান, বেশ কিছু দোকানের ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেগুলি প্রচণ্ড শব্দ করে ফাটতে শুরু করে। চার-পাঁচটি সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় আগুন আরও দ্রুত ছড়াতে থাকে। এক দোকানদার সোনালি মজুমদার বলেন, “কোনও রকমে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছি। চোখের সামনে দোকানটা পুড়ে গেল। কিছুই বাঁচাতে পারলাম না।” রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খালপাড়ে বহু বছর ধরেই দোকানগুলি রয়েছে। আগুন ছড়াতে দেখেই স্থানীয়েরা তা নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।”অভিযোগ, দমকল দেরিতে আসে। তার আগে স্থানীয়েরাই খাল থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে যে বালতির জলে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। দমকল সময়ে এলে কিছু দোকান অন্তত বাঁচানো যেত বলে আরও অভিযোগ তাঁদের। দমকল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দমকলের আধিকারিকদের অনুমান, শর্ট সার্কিট অথবা মশার ধূপ থেকে আগুন লেগেছে। সঠিক কারণটি খতিয়ে দেখছে দমকল। |