রিকশার দাপট কমেনি শিলিগুড়িতে
যানজট রোধে শিলিগুড়ি শহরে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেন পুর কর্তৃপক্ষ। পঞ্চায়েতের রিকশা চিহ্নিত করতে পুরসভা এলাকার রিকশা চালকদের জন্য চালু করা হয় বিশেষ ‘সবুজ পোশাক’। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেই নিয়ম মানছে না কেউ। ফলে পঞ্চায়েত এলাকার রিকশার দাপটও কমেনি। বিশেষ করে কোর্ট মোড় চত্বর, বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, হিলকার্ট রোড, ঋষি অরবিন্দ রোডের মতো ব্যস্ততম রাস্তাগুলিতে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি ডিসি (ট্রাফিক) জয়ন্ত পাল। তিনি বলেন, “রিকশা-সহ অন্য যানবাহনের জন্য রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে হবে।” তিনি জানান, শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশার সংখ্যা ৬ হাজার তিনশো। অথচ প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার রিকশা চলছে। পরিস্থিতি দেখে উদ্বিগ্ন বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রমন দে ধারা। তিনি বলেন, “পুরকর্তাদের সঙ্গে ওই বিষয়ে কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক চাপের জন্যই তাঁরা পদক্ষেপ করতে পারছেন না বলে মনে হচ্ছে।”
কী বলছেন পুরকর্তারা? পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা সমস্যা স্বীকার করে বলেন, “আইন রয়েছে কিন্তু গরিব মানুষের জীবিকার কথা ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।” বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে, পঞ্চায়েত এলাকার রিকশা চলাচল আটকাতে পুর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এক সময় রিকশা চালকদের পুরসভার লাইসেন্স রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। এর পরে ‘ড্রেস কোড’ চালু করা হয়। সবুজ জামা দিয়ে পুরসভার অধীনে থাকা রিকশা চালকদের পৃথক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। মালিককে একশো টাকা দিয়ে অনেকে জামা তৈরি করে নেন। ওই সময় ঘটা করে পোশাকের উদ্বোধন করেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। যদিও ড্রেস কোড নিয়ে রিকশা চালকদের একাংশের ক্ষোভ ছিলই। কিছুদিন ব্যবহারের পরে সবুজ পোশাক বন্ধ হয়ে যায়।
বাসিন্দারা জানান, একেই অটোর দাপট। তার উপরে রিকশার ভিড়। শহরের প্রধান রাস্তা হিলকার্ট রোডে নির্দিষ্ট সময় মেনে রিকশা চলাচল বন্ধ রাখে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু অন্য রাস্তাগুলিতে সেই নিয়ম নেই। ফলে যানজট লেগেই থাকে। জেরবার হতে হয় পথচারীদের। শুধু কী যানজট! শহরের রিকশা চালকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত এলাকার রিকশা চালকদের ঝামেলা লেগেই আছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে।
পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ জানান, প্রতিদিন মাটিগাড়া, ইস্টার্ন বাইপাস, ফকদইবাড়ি এলাকা থেকে প্রচুর রিকশা শহরে ঢুকছে। ওই কারণে যানজট হচ্ছে। তাঁর কথায়, “পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ওই সমস্যা নিয়ে আবার আলোচনায় বসব। এলাকা নির্দিষ্ট করে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রিকশা চালানোর ব্যবস্থা করা হলে সমস্যা কিছুটা কমবে বলে মনে হয়। দেখা যাক কী হয়। আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।”

নিত্য যানজট
পুরসভা এলাকার রিকশা চালকদের জন্য চালু করা হয় বিশেষ সবুজ পোশাক।
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নিয়মের তোয়াক্কা করছে না কেউ।
পঞ্চায়েত এলাকার বহু রিকশা রোজ ঢুকছে শহরে।
শহরের পথে নিত্য যানজট, ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন পথচারিরা।
আলোচনায় সমাধানের আশ্বাস।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.