দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, কাটোয়ায় ধৃত ১২
দুষ্কৃতীকে ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শনিবার রাতে ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কাটোয়ার শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের গাঙ্গুলিডাঙা গ্রাম থেকে তাদের ধরা হয়। রবিবার সকালে ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন জনকে পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গাঙ্গুলিডাঙা গ্রামের দুষ্কৃতী আবুল খয়েরকে গ্রেফতার করতে গেলে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশ। আবুল খয়েরের বিরুদ্ধে বন্দুক ছিনতাই-সহ আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। এ দিন কাটোয়া থানার এসআই সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়-সহ চার জন পুলিশকর্মী গোপনে খবর পেয়ে গাঙ্গুলিডাঙার পশ্চিমপাড়ায় হানা দেন। তখন বাড়িতেই ছিল ওই দুষ্কৃতী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী বলেন, “আমরা মোটরবাইক নিয়ে গিয়েছিলাম। দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে বাইকে চাপিয়েছি এমন সময় ৫০-৬০ জন মহিলা আমাদের ঘিরে ধরে। পিছনে ছিল পুরুষেরা।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলারা ওই চারজন পুলিশকর্মীকে আক্রমণ করতেই সুযোগ বুঝে মোটরবাইক থেকে নেমে পালায় আবুল খয়ের।
আক্রান্ত পুলিশকর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।
শনিবার দুপুরেই আক্রান্ত এসআই-সহ চার পুলিশকর্মী কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এসআই সুদীপ্তবাবু। তাঁর অভিযোগ, লাঠি, টাঙি, রড, এমনকী আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল ওই পুরুষদের হাতে। মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে পিছন থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। ওই পুরুষ ও মহিলাদের একাংশ তাঁদের উপর হামলে পড়ে চড়, ঘুষি মারতে থাকেন বলেও জানান তিনি। জেলার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ওই গণ্ডগোলের মুহুর্তেই বাইক থেকে নেমে পালায় আবুল খয়ের। পুলিশকর্মীরা কার্যত অসহায় অবস্থায় ফিরে আসেন।”
এরপরে তখনই পাল্টা আক্রমণে না গিয়ে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে। পুলিশের যুক্তি, ঘটনার পরে স্বাভাবিক ভাবেই গ্রামে কেউ ছিল না। তাছাড়া ফের পুলিশ গেলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটারও আশঙ্কা ছিল। তাই রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান গ্রামীণ) তরুণ হালদার, কাটোয়ার এসডিপিও ধ্রুব দাস ও ওসি সনৎ দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গাঙ্গুলিডাঙায় যায়। তবে রাতভর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েও মূল অভিযুক্ত আবুল খয়েরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে রমজান শেখ, হাবিবুল্লা শেখ-সহ ১২ জনকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, রমজান শেখের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।
দখল উচ্ছেদ। কোলিয়ারির খনি আবাসনে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালাল ইসিএলের ধেমোমেন কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল থেকেই এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শিল্প নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কোলিয়ারির আধিকারিকেরা এই উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ৩০টি খনি আবাসন খালি করেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.