আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের গাড়ি হেফাজতে নিল পুলিশ। পরে অবশ্য গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কমল দে নামে এক ব্যক্তি শেক্সপিয়ার সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের গাড়ির নম্বর প্লেটে বেআইনি ভাবে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছে। কমিশনের সাইনবোর্ডেও ভুল ভাবে ‘ন্যাশনাল এমব্লেম’ বা জাতীয় প্রতীক লাগানো হয়েছে। অশোকস্তম্ভের বেআইনি ব্যবহার রুখতে আদালতের যে নির্দেশ রয়েছে, ওই গাড়ি ও সাইনবোর্ডের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। এই মামলায় গত ২ এপ্রিল পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বিশ্বরূপ শেঠ। লালাবাজার সূত্রের খবর, তদন্তের জন্যই শনিবার বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ যায়। সেখানে কমিশনারের গাড়িটি রাখা ছিল। সাড়ে তিনটে নাগাদ গাড়িটি হেফাজতে নেয় পুলিশ। কমিশনারের কার্যালয়েই গাড়িটি পরীক্ষা করা হয়। ঘণ্টাখানেক পরেই গাড়িটি ফেরত দেওয়া হয় কমিশনারের কাছে। কমিশনের এক কর্তা বলেন, “কমিশনারের গাড়িতে অশোকস্তম্ভ লাগানোর জন্য কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যিনি গাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন, তিনি অশোকস্তম্ভ লাগিয়েছেন।” তবে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই কমিশনারের গাড়ি থেকে অশোকস্তম্ভ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
|
অর্থ দফতরের দ্বারস্থ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা |
বিদ্যুতের বিল বাবদ বকেয়া পাওনা আদায় করতে অবশেষে অর্থ দফতরের দ্বারস্থ হল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। বিষয়টি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। মহাকরণ সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসের মধ্যে বকেয়া টাকার কিছুটা অন্তত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ দফতরের কর্তারা। রাজ্যের বিভিন্ন দফতর এবং পুরসভাগুলির কাছে বণ্টন সংস্থার বিদ্যুৎ বিল বাবদ বকেয়া পাওনা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। গত এক-দেড় বছর ধরে সংস্থার কর্তারা বার বার ওই দফতরগুলিকে বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েও লাভ হয়নি। অথচ বণ্টন সংস্থাকে প্রতি মাসে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের কাছে বিদ্যুৎ কিনেই ওই দফতরগুলিকে সরবরাহ করতে হয়। পুরসভাগুলির কাছেই বণ্টন সংস্থার পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু বিভিন্ন পুরসভা এখন দাবি তুলেছে কলকাতা পুরসভার মতো তাদেরও বিদ্যুৎ বিল মেটানোর দায়িত্ব নিক রাজ্য অর্থ দফতর। পুরসভাগুলির বক্তব্য, প্রতি বছর বাজেটে অর্থ দফতর শুধু কলকাতা পুরসভার বিদ্যুৎ বিল মেটাতে মোট খরচের ৭৫ শতাংশ বরাদ্দ করে থাকে। তাদের জন্যও একই ব্যবস্থা চালু করা হোক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এখন অর্থ দফতরেরই দ্বারস্থ হয়েছে বলে মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
পরীক্ষার জন্য বিশেষ ট্রেন |
‘অল ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ট্রান্স এগজামিনেশন’ (এআইইইই) এবং ‘ডবলিউবিসিএস প্রিলিমিনারি’ পরীক্ষার জন্য আজ, রবিবার বেশ কয়েকটি বিশেষ ট্রেন চালাবে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে। শনিবার পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, এআইইইই-র জন্য পরীক্ষার দিন অর্থাৎ রবিবার দুর্গাপুর-বর্ধমান এবং দুর্গাপুর-জসিডির মধ্যে দু’টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এ ছাড়াও আসানসোল-ধানবাদ-গয়ার ট্রেনটি এ দিন দুর্গাপুর স্টেশন থেকে ছাড়বে। দুর্গাপুর-বর্ধমান পরীক্ষা স্পেশ্যাল ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশন থেকে দুপুর দেড়টায় ছাড়বে। দুর্গাপুর থেকে জসিডির ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর পৌনে দু’টোয়। গয়ার ট্রেনটি দুর্গাপুর থেকে ছাড়বে দুপুর দেড়টায়। ‘ডবলিউবিসিএস প্রিলিমিনারি’ পরীক্ষার ১৪টি কেন্দ্র পড়েছে সোনারপুর ও বারুইপুরের মধ্যে। তাই, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রবিবার যে ট্রেনগুলি চলে না, সেগুলিও রবিবার চালানো হবে। এ ছাড়াও, প্রত্যেকটি লোকাল ট্রেন হাওড়া শাখার সমস্ত স্টেশনে থামবে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। এই রবিবার বেলুড় মঠ লোকাল চালানো হবে না। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারের সাধারণ সূচী অনুযায়ী খড়্গপুর শাখার ইএমইউ ট্রেনের পাশাপাশি, পাঁশকুড়া-হাওড়া, হাওড়া-পাঁশকুড়া এবং হাওড়া-মেদিনীপুর, মেদিনীপুর-হাওড়া থেকে আরও কয়েক জোড়া ইএমইউ ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে পাঁশকুড়া থেকে সকাল ছ’টায় হাওড়াগামী পরীক্ষা স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়বে। সেটি হাওড়ায় পৌঁছবে পৌনে আটটা নাগাদ। |