রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের গাড়িতে অশোকস্তম্ভের বেআইনি ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বিশ্বরূপ শেঠ এই নির্দেশ দেন। সোমবার রাতে শেক্সপিয়র সরণি থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন কমল দে নামে এক ব্যক্তি। ওই অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে না। তাই সিএমএমের আদালতে সেটি পেশ করা হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন তমালকান্তি মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য রাউত। আবেদনকারীর অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের গাড়ির নম্বর প্লেটে বেআইনি ভাবে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করা হয়েছে। কমিশনের সাইনবোর্ডেও ভুল ভাবে ‘ন্যাশনাল এমব্লেম’ বা জাতীয় প্রতীক লাগানো হয়েছে। অশোকস্তম্ভের বেআইনি ব্যবহার রুখতে আদালতের যে-নির্দেশ রয়েছে, ওই গাড়ি ও সাইনবোর্ডের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
কমিশন সূত্রের খবর, কমিশনার যে-গাড়ি ব্যবহার করেন সেটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে। আগে কোনও নির্বাচন কমিশনার গাড়িতে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করতেন না। কমিশনের এক কর্তা বলেন, “কমিশনারের গাড়িতে অশোকস্তম্ভ লাগানোর জন্য কমিশনের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যিনি গাড়ি ভাড়া দিয়েছেন, তিনিই সরকারি কর্তাদের গাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন ধরে নিয়ে অশোকস্তম্ভ লাগিয়েছেন।” তবে এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই কমিশনারের গাড়ির নম্বর প্লেট থেকে অশোকস্তম্ভ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাতে অবশ্য সমালোচনা থেমে নেই। মেট্রো চ্যানেলে তৃণমূলের সমাবেশেও কমিশনারকে আক্রমণ করা হয়। কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায় তাঁর ভাষণে মীরাকে প্রতারক বলে অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, “কমিশনার অবৈধ ভাবে অশোকস্তম্ভ ব্যবহার করছেন। ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। পশ্চিমবঙ্গে উনি রাজনৈতিক অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছেন।” |