চাষিদের কম দামে ফসল বেচতে বাধ্য করাচ্ছে ফড়েরা। তাদের দেওয়া দামে সব্জি না-বেচলে মারধরও করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের মঙ্গলবারের বৈঠকে এই অভিযোগ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা কমল দে। বৈঠকেই কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের শেষে কমলবাবু জানান, ২৬ মার্চ স্বরূপনগরের চাতরা হাটে চাষিরা ১০ টাকা কিলোগ্রাম দরে পটল বেচতে চাইছিলেন। এক দল ফড়ে চাষিদের পাঁচ টাকা দরে তা বিক্রি করতে চাপ দেয়। বচসা বাধে। ফড়েরা চাষিদের মারধর করে বলে অভিযোগ। কমলবাবু বলেন, কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেগুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
|
ফের পরীক্ষার দাবিতে দরবার |
অনিবার্য কারণে যাঁরা রবিবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) দিতে পারেননি, তাঁদের ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করলেন বাম প্রতিনিধিরা। বামেদের দাবি, টেট-এর গোলমাল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এমন সমস্যা ঠেকাতে উদ্যোগী হোক রাজ্য সরকার। সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে চার বাম প্রতিনিধি মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে আনিসুর বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার সময়েই চূড়ান্ত গোলমাল হয়েছিল। আশা করেছিলাম, সরকার তা থেকে শিক্ষা নেবে। কিন্তু তা হয়নি।” সরকার অবশ্য আগেই জানিয়েছে, যাঁরা অনিবার্য কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁদের ফের পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বাম প্রতিনিধিদের সে-কথাই জানান ব্রাত্যবাবু।
|
দরপত্র ছাড়াই বরাতের নালিশ |
দরপত্র না-ডেকেই পছন্দের তিনটি ছাপাখানাকে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক কর্তাকে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বিরুদ্ধে। সমীর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার থাকাকালীন (২০০৮-’০৯) দরপত্রের ব্যবস্থা না-করে তিনটি ছাপাখানার কাছ থেকে কোটেশন নিয়ে ৭২ লক্ষ প্রচারপত্র ছাপার বরাত দেন। খরচ হয় ২২ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। ভিজিল্যান্স বিভাগের তদন্তে দেখা যায়, ওই কাজে সংস্থার প্রায় ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ওই তিনটি ছাপাখানাই প্রতি এক হাজার প্রচারপত্রের জন্য ৩০২ টাকা নেয়। অথচ একই ধরনের প্রচারপত্র ছাপতে বণ্টন সংস্থার তালিকাভুক্ত একটি ছাপাখানা প্রতি হাজারের জন্য ১৪৫ টাকা দর দিয়েছিল ২০১০ সালে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে সমীরবাবু জানান, চার্জশিটের উত্তর তিনি যথাস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
|
রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়ে গেলেও ফল না-বেরোনোয় পুরো প্রক্রিয়াটাই ঝুলে রয়েছে বলে মঙ্গলবার মহাকরণে অভিযোগ করেন সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। তাঁর দাবি, এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন সংখ্যালঘু কর্মপ্রার্থীরা। এ দিন মহাকরণে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার কাছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন সংক্রান্ত সাত দফা দাবিপত্র পেশ করেন বাম পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিরা। পরে মন্ত্রী বলেন, “দাবিপত্রের কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |