চ্যাম্পিয়নদের মেজাজ বোধহয় এমনই হয়। ভারতীয় টেনিসের কিংবদন্তিদের সঙ্গে সংবর্ধনার পরই ডেভিস কাপের ম্যাচে নেমে লিয়েন্ডারের মেজাজ এ দিন যেমন টের পাওয়া গেল। কে বলবে ডেভিস কাপে নিজের ৫০তম টাইয়ে নেমেছেন। ৮১ মিনিটে সনম সিংহের সঙ্গে ডাবলস ম্যাচ জিতে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে প্লে-অফ টাইয়ে ৩-০ এগিয়ে ভারতের আঞ্চলিক গ্রুপের অন্তত প্রথম ডিভিশনে টিকে যাওয়া নিশ্চিত করে ফেলেন লিয়েন্ডার। ইন্দোনেশিয়ার ডেভিড আগুং সুশান্ত আর এলবার্ট সাই জুটি গুঁড়িয়ে গেল ৬-২, ৬-১, ৬-৪। |
আসলে ম্যাচটা শুরুই হয়েছিল এমন একটা আবহে যে লিয়েন্ডারের চার্জড হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। রমানাথন কৃষ্ণন, রমেশ কৃষ্ণন, আনন্দ অমৃতরাজের মতো অতীতের দিকপাল টেনিস তারকাদের সঙ্গে মহেশ ভূপতি, এস পি মিশ্র এবং লিয়েন্ডারকে দেশের টেনিসে সেবা করার জন্য সংবির্ধত করে এআইটিএ।
প্রায় তুড়িতে ম্যাচ জেতার পর লিয়েন্ডার বলেই দিলেন, “টিমের পরিবেশ এখন দুর্দান্ত। আমার মনে হয় বিশ্ব গ্রুপে প্লে অফে, কোয়ার্টার ফাইনাল আর সেমিফাইনালে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে টিমের পরিবেশ আরও ভাল হবে। আমাদের স্বপ্ন ডেভিস কাপ খেতাব জেতা। এই লক্ষ্য সামনে রেখেই আমরা এগোতে চাই।” পাশাপাশি লিয়েন্ডার আরও বলেন, “টেনিস সবার থেকে বড়। আমাদের সবার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তাই আমাদের দায়িত্ব দেশের জন্য যা চাই করাটা। আমাদেরই দায়িত্ব দেশের জন্য এবং পরস্পরের জন্য খেলা।” ১৯৯৩ সালে ডেভিস কাপের সেমিফাইনালে খেলা দলের সঙ্গেও বর্তমান ভারতীয় দলের খুব বেশি পার্থক্য দেখছেন না লিয়েন্ডার। বলে দিলেন, “১৯৯৩ দলে যে একতা ছিল এই দলে সেটা ক্রমশ তৈরি হচ্ছে। এখন টিমের লিডারদের একটা কাজই করতে হবে। টিমটাকে একজোট করতে হবে।” |
আর সংবর্ধনার পর ভারতীয় টেনিসের আইকন আনন্দ অমৃতরাজ বলে দিলেন, “আশা করছি সব বতর্ক মিটে গিয়ে ২০১৪ মরসুমে আমরা বিশ্বগ্রুপে উঠতে পারব।” পাশাপাশি আরও বলেন, “সোমদেব, য়ুকি, বিষ্ণুদের মতো দেশের তরুণ প্রজন্মের টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে।”
এ দিকে, মেক্সিকোয় এটিপি চ্যালেঞ্জারের ডাবলসে মরসুমের দ্বিতীয় খেতাবের সামনে ভারতের দ্বিবিজ শরণ এবং পূরব রাজা। শীর্ষবাছাই মার্কিন-জার্মান জুটি নিকেলাস মনরো আর সাইমন স্টাডলারকে ৬-৪, ৬-২ হারিয়ে ফাইনালে দ্বিবিজ-পূরব জুটি।
|