• উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সমস্যা ও উত্তরণের পথ নিয়ে দু দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হল “শিকড়” নামে লোকশিল্পী কল্যাণ সমিতি ও ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় ভাষা সংস্থান কেন্দ্রের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার উদ্যোগে। গত ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ফালাকাটার ভুটনিরঘাটে ওই সভায় মূল বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ রায়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে কালচারাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান পি সি পট্টনায়ক, সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, আনন্দগোপাল ঘোষ প্রমুখ। শিল্পীদের নানান সমস্যা নিয়ে পৃথক আলোচনা হয়। ওই সভার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন লোক শিল্পীকে সংস্থার পক্ষে সংবর্ধিত করা হয়। বিষহরা গানে মুকুন্দ বর্মন, ভাটিয়ালিতে ক্ষীরোদ সরকার,কবিগানের জন্য মহেন্দ্র সরকার, মনোশিক্ষা গানের জন্য সিদ্ধেশ্বর রায়, কুষাণ গানে বিশেষ অবদানের জন্য মহিম বর্মন, লাহাঙ্কারি গানের জন্য লঙ্কেশ্বর বর্মন, খন গানের জন্য সংবর্ধিত হন শ্রীমন্ত সরকার এবং অনিল পাল, গম্ভীরা গানের জন্য রাজ কুমার দাস, মুর্শিয়া গানের জন্য সংবর্ধিত হন মহম্মদ দেলদার রহমান। উত্তরবঙ্গের লুপ্তপ্রায় লোক সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এই সংস্থা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
• বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত হল বালুরঘাটে। ২৭ মার্চ দুটি পর্বে বিভিন্ন নাট্য দল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাটকের জন্য পদযাত্রা হয়। পরে নাট্যকর্মীরা পুরসভার সামনে পথসভা করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন নাট্য ব্যক্তিত্ব হরিমাধব মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় নাট্য মন্দিরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন নাট্যকর্মী শুভম ভট্টাচার্য, রাজর্ষী গোস্বামী। আবৃত্তিতে ছিলেন দীপক রক্ষিত, রুমা ঘোষ, ইমন সাহা, স্বাতীলেখা কুন্ডু, অস্মিতা সমাদ্দার। কৌতুকাভিনয় পরিবেশন করেন সুব্রত চৌধুরী। নীলিমা সিংহ নাটকের অংশ অভিনয় করেন। আহ্বায়ক ছিলেন গোবিন্দ সরকার ও অজিত মহন্ত। সঞ্চালক ছিলেন তুহিনশুভ্র মণ্ডল।
• ৩৯ তম প্রণবানন্দ জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন হয়েছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শিলিগুড়ি শাখার উদ্যোগে। ২৭-২৯ এপ্রিল ওই উৎসব হবে। প্রথম দিন বিকেলে থাকবে সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও ভক্তদের শোভাযাত্রা। সন্ধ্যায় হবে আদর্শ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্মেলন। ‘বর্তমান শিক্ষা সমস্যার সমাধানে স্বামী প্রণবানন্দজী’ বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন স্বামী শুভ্রানন্দ এবং স্বমী জীবাত্মানন্দ। দ্বিতীয় দিন সকালে অন্নকুট, আারতি। সন্ধ্যায় থাকবে হিন্দু ধর্ম সম্মেলন। শেষ দিনে আবৃত্তি, বসে আঁকো, ক্যুইজ।
• ৩১ মার্চ ময়নাগুড়ি শহরে রবিতীর্থ ভবন এবং ধূপগুড়ি কমিউনিটি হলে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা। আয়োজক বিবেকানন্দ যুব মহা মণ্ডলের স্থানীয় শাখা। ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বামী আত্মপ্রিয়ানন্দ এবং অখিল ভারত যুব মহামন্ডলের উত্তরবঙ্গ মনিটরিং কমিটি সম্পাদক সমীর দাশগুপ্ত।
• ৩০ থেকে ৩১ মার্চ আবির নৃত্যালয়ের ২৬তম নৃত্য বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হল বালুরঘাট নাট্যমন্দিরে । ১৯৮৬ সালে সংস্থাটি গড়ে ওঠে। দু’দিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয় তিন কন্যা, তুষারমালা, হিংসুটে দৈত্য, কালমৃগয়া, কৌন্তেয় কর্ণ। অভিনয়ে রীনা সিংহ রায় এবং অর্কপ্রভ ঘোষ। যন্ত্রসঙ্গতে উদয় সিংহ রায়। ভাষ্যপাঠে ছিলেন সুধীর চৌধুরী এবং একতা দে।
• ২৯ মার্চ জলপাইগুড়ির সুভাষ ভবনে সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘রবীন্দ্রবীথি’-র উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্বোধনী সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন করেন সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা। পরে পরিবেশিত হয় আবৃত্তিও। শেষে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’গানে আবির খেলেন দর্শক-শিল্পীরা। |