|
|
|
|
জঙ্গলমহলে ২ টাকা কেজি চাল, এখনও বিলি হয়নি সব রেশন কার্ড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দেখতে দেখতে আরও একটি আর্থিক বছর পেরিয়ে গেল। এখনও পশ্চিম মেদিনীপুরে জঙ্গলমহলের সব মানুষের হাতে বিশেষ প্রকল্পের রেশন কার্ড তুলে দিতে পারেনি জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। যাদের নতুন কার্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকের কাছেই থেকে গিয়েছে পুরনো কার্ড। তা ফেরত নেওয়া হয়নি। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় যদিও বলেন, “বেশিরভাগ কার্ড দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সামান্য কিছু কার্ড রয়েছে। উপভোক্তারা কার্ড না নিতে আসায় তা দেওয়া যায়নি।”
ক্ষমতায় আসার পরেই জঙ্গলমহলের সব গরিব মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার অন্যত্র যে সব তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বার্ষিক আয় ৪২ হাজার ও অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে যাদের বার্ষিক আয় ৩৬ হাজার টাকা, তাদের সকলকে বিশেষ এই প্রকল্পের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সমীক্ষায় দেখা যায়, জঙ্গলমহলের ১১টি ব্লকে উপভোক্তার সংখ্যা ৮ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯১২ জন। শুরু হয় কার্ড লেখা ও কার্ড বিতরণের কাজ। প্রশাসনিক পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় দেড় বছর আগে এই তোড়জোর শুরু হয়েছিল। অথচ, এখনও ১৬০৮ জনের কার্ড লেখা হয়নি। ২১ হাজার ৯৯৩ জনকে কার্ড দেওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একাধিক বার জঙ্গলমহলে এসেছেন। শিবির করে দ্রুত রেশন কার্ড বিলির নির্দেশ দিয়েছেন। কিছুদিন শিবির করে কার্ড বিলিও করা হয়েছিল। তারপরেই ফের তা শ্লথ হতে শুরু করে। অর্থবর্ষ শেষে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষকে কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি।
খাদ্য দফতর অবশ্য এ জন্য গ্রাহকদেরই দায়ী করছে। দফতরের দাবি, গ্রাহকেরা কার্ড নিতে আগ্রহী নন। অথচ, তাঁরাই তো কার্ড চেয়ে আবেদন করেছেন, বিডিও-র কাছ থেকে বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র নিয়েছেন। তবে কেন কার্ড নিতে অনীহা? প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যন্ত গ্রামের বহু মানুষই এখনও এ বিষয়ে সচেতন নন। অনেকে আবার রুটিরুজির সন্ধানে অন্য জেলায় চলে যান। মূলত এই দু’টি কারণেই অনেকে কার্ড নিতে আসেননি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, যতদিন মাওবাদীরা সক্রিয় ছিল, ততদিন প্রশাসনেরও আন্তরিকতা ছিল। এখন মাওবাদীদের অস্ত্বিত্ত্ব সে ভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে না, তাই প্রশাসনও ঢিলেঢালা। অথচ, এই দারিদ্র ও বঞ্চনাকে হাতিয়ার করেই মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্ড না নেওয়া উপভোক্তাদের কার্ড নিয়ে যাওয়ার জন্য ফের খবর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বারবার তো শিবির করা সম্ভব নয়। তাছাড়াও এখনও অনেক নতুন উপভোক্তা আয়ের শংসাপত্র দিয়েও আবেদন করছেন। তাঁদের জন্যও কার্ড তৈরি করতে হচ্ছে। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “দফতরে কর্মী সঙ্কট প্রবল। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কার্ড পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়।” তাই দেড় বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের রেশন কার্ড এখনও সকলের হাতে পৌঁছতে পারেনি প্রশাসন।
|
মদের দোকান নিয়ম ভাঙায় বদলে গেল রায় |
মাস কয়েক আগে নিজের দেওয়া রায় শুক্রবার বদলে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। তবে এই রায় বদলের জন্য সরকারি আইনজীবীদের দেওয়া তথ্যই দায়ী। বিচারপতি দত্ত এ দিন সেটা উল্লেখও করেন। কয়েক মাস আগে রাজ্যের আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে বাবলু মুন্সি নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় বিচারপতি তাঁর মদের দোকানকে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আবগারি দফতর সেই নির্দেশ মানেননি বলে ফের মামলা করেন বাবলুবাবু। সরকারি আইনজীবী সুশোভন সেনগুপ্ত এ দিন আদালতে জানান, বাবলুবাবুই বিধি ভেঙেছেন। দোকানের স্থায়ী অনুমোদন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়মাবলি মানেননি তিনি। আগের বার আদালতকে এ কথা জানানোই হয়নি। এর পরেই বিচারপতি আগের রায় বদল করে জানান, নিয়ম পালনের পরে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়ার কথা আবগারি দফতর বিবেচনা করবে। |
|
|
|
|
|