চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হল। শুক্রবার ভোরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান কার্তিক ঘোষ (৪২)। গঙ্গাজলঘাটির রাজারামপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। বুধবারের দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জন শ্রমিকের মৃত্যু হল। দুর্ঘটনার পর থেকেই গঙ্গাজলঘাটির ইস্পাতের রড তৈরির ওই কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঙ্কটে পড়েছেন প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক। কর্তৃপক্ষের দেখা না মেলায় কারখানা খোলা নিয়ে তাঁদের মনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। |
আইএনটিটিইউসির জেলা সম্পাদক নিমাই মাজি বলেন, “শ্রমিকেরা চাইছেন দ্রুত কারখানা চালু হোক। আমরা মালিকপক্ষকে তা জানিয়েছি।” কারখানার অন্যতম কর্ণধার জিতু গোয়েল বলেন, “আমরা মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেব। পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে পুলিশের অনুমতি নিয়ে ফের কারখানা চালু করা হবে।” দুর্ঘটনার পরে বাসিন্দাদের অভিযোগে পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে। এসপি মুকেশ কুমার বলেন, “ওঁরা কারখানা খুলতেই পারেন। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব।”
|
এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে সিপিএমের এক সিপিএম নেতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাইপুর থানার ঝড়িয়া গ্রামের ঘটনা। রাইপুরের লাগদা গ্রামের বাসিন্দা ধৃত নবকুমার বাগ সিপিএমের ফুলকুসমা লোকাল কমিটির সদস্য। বাকি দুই ধৃত তাপস গরাই ও সুকুমার গরাইয়ের বাড়ি ঝড়িয়া গ্রামে। এসডিপিও (খাতড়া) কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, “মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে শুক্রবার ধরা হয়েছে।” ঝড়িয়া গ্রামে একটি পারিবারিক গোলমালকে ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিট বাঁধে। তৃণমূল কর্মী চন্দন দণ্ডপাটকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের কর্মীদের বিরুদ্ধে। নবকুমার-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে রাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিপিএমের রাইপুর জোনাল সম্পাদক ধ্রুবলোচন মণ্ডল অভিযোগ মানতে চাননি। |