|
|
|
|
|
|
|
ক্লিক অর প্রেস |
অবশেষে ময়দানে
|
|
স্মার্টফোনের লড়াইয়ে জোর কদমে নামল ব্ল্যাকবেরি। জানাচ্ছেন সুরিত ডস |
লড়াইয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। এ বার জবাব দেওয়ার পালা। ব্ল্যাকবেরি নিয়ে এল Z10। একই সঙ্গে ব্ল্যাকবেরি প্রস্তুতকারী সংস্থা রিসার্চ ইন মোশন-ও (রিম) নিজের নাম পাল্টে ব্ল্যাকবেরি করে নিল।
Z10 আগের ব্ল্যাকবেরি থেকে একেবারেই আলাদা। অনেকটা আইফোনের মতো দেখতে। তবে একটু বড়। কালো রং। পিছনে রবার থাকায় ধরতে সুবিধা হয়। উচ্চ রেজলিউশন-এর ৪.২ ইঞ্চি স্ক্রিন। রয়েছে ২ জিবি র্যাম আর ১৬ জিবির ফ্ল্যাশ মেমোরি। কভারের তলায় রয়েছে মাইক্রো এসডি কার্ডের স্লট। ৩২ জিবি পর্যন্ত কার্ড ব্যবহার করা যায়।
আসল চমক লুকিয়ে আছে এর অপারেটিং সিস্টেমে। Z10-এ রয়েছে ব্ল্যাকবেরির নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্ল্যাকবেরি-১০। যে কোনও স্ক্রিন থেকে প্রথমে উপরের দিকে পরে ডান দিকে সুইপ করলেই BlackBerry Hub-এ পৌঁছনো যাবে। Z10-এর নীচে আঙুল ছুঁইয়ে উপরের দিকে সুইপ করলে খুলে যাবে BlackBerry Hub। এখানেই আপনার ই-মেল, মিসড কল অ্যালার্ট, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর নোটিফিকেশন থেকে লেখালেখি সবই জমা থাকবে। আলাদা ভাবে প্রত্যেকটি নোটিফকেশন দেখা যাবে। Hub-এ উপরে ডান দিকে এলইডি আলো কাঁপতে থাকলে বুঝতে পারবেন কোনও আপডেট আছে। |
|
এই অপারেটিং সিস্টেম এক সঙ্গে অনেক কাজ সহজে করা যায়। নতুন BlackBerry Messenger (BBM)-এর মধ্যেই থাকছে ভিডিও চ্যাটের সুবিধা। এখানে ভিডিও চ্যাটের সময় যে কেউ তাঁর স্ক্রিন অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। যদিও আপাতত ওয়াই-ফাই-এ এই সুবিধা মিলবে। এই ফোনে দু’টি ক্যামেরা রয়েছে। পিছনে ৮ মেগাপিক্সেলের, সামনে ২ মেগাপিক্সেলের। পিছনের ক্যামেরায় ১০৮০পি হাইডেফিনেশন ভিডিও আর সামনের ক্যামেরায় ৭২০পি ভিডিও তোলা যায়।
Z10-এর ক্যামেরায় পাওয়া যাচ্ছে Time Shift-এর সুবিধাও। এতে কোনও গ্রুপ ছবি তুলে প্রত্যেকের পোজ ঠিক করা যায়। ক্যামেরা কয়েক সেকেন্ডে একাধিক ছবি তোলে। ছবি তোলা শেষ হলে প্রত্যেকের মুখের উপরে একটি বক্স দেখা যাবে। বক্সে ট্যাপ করে আঙুল ছুঁইয়ে মুখের চার পাশে ঘোরালে পোজ পাল্টাতে থাকবে। যে পোজটি আপনার উপযুক্ত মনে হবে সেখানে থেমে গিয়ে ট্যাপ করবেন। তবে এতে ফোকাসে সমস্যা থাকলে ঠিক করা যায় না।
এ ফোনে টাচ্-স্ক্রিন কি-বোর্ড টাইপ করার সময়ে কী লিখতে চাইছেন তার পূর্বাভাষ পাবেন। যদি শব্দটি ঠিক হয় তবে শুধু আঙুল ছুঁইয়ে একটু ঠেলে দিলেই শব্দটি ঠিক জায়গায় বসে যাবে। আছে কি-বোর্ড সহজে কাজ করার নানা উপায়ও। যেমন, ডিলিট-কি টিকে বাঁদিকে দ্রুত সুইপ করলে কোনও শব্দ মুছে যাবে।
Z10-এর গলা শুনে কাজ করার সফ্টঅয়্যারটি আইফোনের Siri-র থেকে ভাল। ভারতীর উচ্চারণ ভাল বুঝতে পারে। টাইপ করতে হবে না। মুখে বললেই মেসেজ বললেই চলে যাবে। এর ওয়েবব্রাউজারটি চমত্কার। এই ব্রাউজারে Adobe Flash কাজ করে। যদিও Adobe Flash আপনাআপনি কাজ শুরু করে না, অ্যাক্টিভেট করতে হবে।
তবে BlackBerry’র Maps আইফোনের Maps-এর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এখানে কলকাতার কোনও রেস্তোরাঁ খুঁজতে গিয়ে সিঙ্গাপুর বা ব্যাংকক-এও পৌঁছে যেতে পারেন। তবে সুখবর হল এখানে MapMyIndia’s অ্যাপসটি রয়েছে। এর GPS Navigator-টি এ দেশে ভালই কাজ করে। এ অ্যাপসটি আইফোন-এর ক্ষেত্রে কিনতে হয়। বাণিজ্য জগতের মানুষরা ব্ল্যাকবেরির বেশি ব্যবহার করতেন। তাঁদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বজায় রাখতে রয়েছে Documents To Go অ্যাপসটি। এখানে Microsoft Word, Excel files, PowerPoint ফাইল পড়া যাবে, কাজও করা যাবে। দেখা যাবে Adobe PDF ফাইলগুলিও। এই ফোন হারালে বা চুরি হলে BlackBerry Protect service ব্যবহার করে দূর থেকে ফোনটি লক করে দেওয়া যাবে।
BlackBerry-র দাবি, প্রায় ৭০ হাজার অ্যাপস এই ফোনে কাজ করবে। এর মধ্যে Third Party অ্যাপসও রয়েছে। যেমন আমার ফোনটিতে Facebook, Twitter, Foursquare, LinkedIn, Dropbox, Box, Angry Birds, Star Wars-এর মতো Third Party অ্যাপস রয়েছে। তবে Instagram, Skype বা Google Maps-এর মতো Third Party অ্যাপস এখনও আসেনি। |
|
|
|
|
|
|