পুকুর ভরাটে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে কারণ দর্শাল জেলা মৎস্য দফতর। তাঁদের নাম বিনোদ অগ্রবাল ও মনোজ অগ্রবাল। গত ২৮ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে জেলা মৎস্য দফতরে পুকুর ভরাটের অভিযোগ দায়ের করে বর্ধমানের টাউনহল ও রাধানগরের কয়েক জন বাসিন্দা। |
তাঁদের একজন থাকোহরি ঘোষ বলেন, “বহু প্রাচীন ওই পুকুরটিকে গত কয়েকদিন ধরে ভরাট করে ফেলছিল বেশ কিছু লোক জন। তারা ওই দুই অভিযুক্তের প্রভাবিত বলেই পরিচিত। একদা এই আট বিঘের জলাশয়টি রাজাদের সম্পত্তি ছিল। তার সামান্য একটি অংশের মালিকানা পেয়ে ওই দু’জন নিজেদের এলাকা ছাড়িয়েও বাঁশের খুঁটি পুঁতে পুকুরটি ভরাট করতে শুরু করে। পুকুরটি বাঁচাতে আমরা মৎস্য দফতরে অভিযোগ করি।” মৎস্য দফতরের মীন আধিকারিক (সাধারণ) সজল সাহা বলেন, “আমরা এ দিন ওই জলাশয়ের পাড়ে গিয়ে তদন্ত চালিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে প্রমাণ পেয়েছি, জলাশয়টি বেআইনিভাবে ভরাট করার কাজ চলছে। তাই অভিযুক্ত ওই দু’জনকে আমরা কারণ দর্শাতে বলেছি।” বিনোদ অগ্রবাল জানান, মৎস্য দফতরে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে সব কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছেন তাঁরা। সজলবাবু জানান, “বিনোদবাবু কাগজপত্র জমা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তা দেখা হয়নি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।” |