খেলা
মাঠের টানে
য়স তাঁদের মুখের রেখায় ত্রিকোণমিতি স্পষ্ট করেছে। হাঁটুতে টান ধরেছে। হাল্কা হয়েছে চুল। এমনই এক ঝাঁক প্রবীণকে নিয়ে ডুমুরজলার মাঠে হয়ে গেল সারা বাংলা অষ্টম মাস্টার্স অ্যাথলেটিক মিট। আয়োজন করেছিল ‘হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাস্টার্স অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন’।
২৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে পুরুষদের আটটি এবং মহিলাদের সাতটি বিভাগে লড়াই হয়। সাত সকালেই দমদম থেকে এসেছিলেন সুধাংশু দলুই। ৭৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে ১০০ মিটার দৌড়ে নামলেন। জিতলেন সোনা। তাঁর কথায়: “তরুণ বয়সে মনোহর আইচের কাছে বডিবিল্ডিং করতাম। ৬০ পেরনোর পরে অ্যাথলেটিক্স শুরু করি। রাজ্য ও জাতীয় প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছি।”
এক সময় জেলাস্তরে ক্রিকেট খেলতেন মধ্যমগ্রামের অরুণকুমার বসু। ৬৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে ডিসকাস থ্রোতে নামেন। পেলেন সোনা। শটপাটে জিতলেন রুপো। চনমনে মানুষটি বললেন, “মনের তাগিদে ছুটে আসি। নিয়মিত মাঠে নামি বলেই শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধেনি।”
ঠাকুরপুকুর থেকে এসেছিলেন পঙ্কজ সরকার। দৌড়াতে ভালবাসেন। পুরুষদের ৬৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে ১৫০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হলেন। তাঁর কথায়: “নিয়মিত দৌড়াই, সাঁতার কাটি। দিব্য আছি।” এসেছিলেন কলকাতার ভবানীপুরের স্বামী-স্ত্রী জুটি শুধাংশুভূষণ চক্রবর্তী এবং বিজয়া চক্রবর্তী। ছিলেন আর এক স্বামী-স্ত্রী জুটি হিন্দমোটরের সুবিমল কানুনগো আর চিন্ময়ী কানুনগোকে। পুরুষদের ৫৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে ডিসকাস থ্রোতে সোনা, শটপাট ও জ্যাভলিনে রুপো জিতলেন হাওড়ার কালীপদ ভৌমিক।
খেলার টানে সুদূর ঝাড়গ্রাম থেকে চলে এসছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক চুনীবালা হাঁসদা। মহিলাদের ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে ডিসকাসে এবং জ্যাভলিনে সোনা পেলেন। সঙ্গে লং জাম্পে জিতলেন ব্রোঞ্জ। তাঁর কথায়: “এর আগে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। খেলার নেশায় চলে এসেছি।” তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা ভেটারেন্স অ্যাসোসিয়েশনের এক ঝাঁক প্রতিযোগী। মহিলাদের ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে এই অঞ্চলের প্রতিযোগী ইলা দত্তসিংহ। আক্ষেপ করে বললেন, “বহু বছর জাতীয় প্রতিযোগিতায় নামছি। বিশেষ কোনও সাহায্য পাইনি।”
প্রতিযোগিতার সূচনা করেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার, আয়োজক সংস্থার কার্যকরী সভাপতি অবনীভূষণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার


বার্ষিক অনুষ্ঠান
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল ‘সাঁতরাগাছি ভাই ভাই সঙ্ঘ’-এর সপ্তম বার্ষিক অনুষ্ঠান। ছিল ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও যোগাসন প্রতিযোগিতা। নৃত্যনাট্য ‘ভুশন্ডির মাঠ’ পরিবেশন করে স্বামীজি যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। ছিলেন বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার।

সচেতনতা সভা
সম্প্রতি হাওড়ার ‘মাতৃ আরাধনা সমিতি’ আয়োজন করেছিল ‘মরণোত্তর চক্ষুদান’ শীর্ষক এক সচেতনতা সভার। সভায় মরণোত্তর চক্ষুদান বিষয়ে জনসাধারণের মনে যে কুসংস্কার আছে তা দূর করার চেষ্টা হয়। শেষে ছিল কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের উপর একটি তথ্যচিত্র।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.