|
|
|
|
|
|
সাঁতরাগাছি স্টেশন |
নব সাজের প্রতীক্ষা |
শ্রীজীব মুখোপাধ্যায় |
ঢেলে সাজা হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশন। এই স্টেশনকে গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল স্টেশনে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী এই প্রকল্পের সূচনা করেন। সম্প্রতি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
হাওড়া স্টেশনের উপর ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও ট্রেনের চাপ সামাল দিতেই সাঁতরাগাছিকে পূর্ণাঙ্গ টার্মিনাল স্টেশনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্টেশনের বর্তমান পরিকাঠামোর খোলনলচে পাল্টে আমূল সংস্কার করা হবে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার। সাঁতরাগাছিকে গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল স্টেশনের রূপ দিতে বিশাল কর্মযজ্ঞে নেমেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। রেল কর্তৃপক্ষের আশা, প্রকল্পটি শেষ হলে হাওড়া স্টেশনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে সাঁতরাগাছি। আরও নতুন ট্রেনও চালু করা যাবে।
বর্তমানে হাওড়া অত্যন্ত ব্যস্ত স্টেশন হয়ে উঠেছে। ফলে হাওড়ায় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ট্রেনের প্রবেশ ও প্রস্থান পরিচালনা করা রেলের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। হাওড়া স্টেশনের উপর যে ভাবে চাপ বেড়েছে, তাতে হাওড়ায় আর নতুন ট্রেন নেওয়া সম্ভব নয়। |
|
পরিকল্পিত স্টেশনের মডেল |
এখন সারা দিনে প্রায় ৫০০ জোড়া ট্রেন হাওড়া স্টেশন থেকে চলাচল করে। রেল কর্তৃপক্ষের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একটি নিজস্ব টার্মিনাল স্টেশন দীর্ঘ দিন ধরেই প্রয়োজন। এর আগে মাঝেরহাটে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টার্মিনাল করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। সাঁতরাগাছিতে এখন অধিকাংশ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। কিছু মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনও এখন সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ছে। স্টেশনের পাশেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল। যাত্রীরা খুব কম সময়েই কোনা এক্সপ্রেস দিয়ে কলকাতায় পৌঁছতে পারেন। বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে এক দিকে যেমন খুব সহজেই কলকাতায় পৌঁছনো যায়, তেমনই ৬ ও ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যায়। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই এখন হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছিতে নেমে পড়েন। সেই কারণেই সাঁতরাগাছিতে টার্মিনাল স্টেশন করার পরিকল্পনা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-’১২-য় সাঁতরাগাছিতে টার্মিনাল করার এই পরিকল্পনা মঞ্জুর হয়েছে। নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ, প্রয়োজনীয় যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য-সহ সাঁতরাগাছি স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ‘ইরকন’-কে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টার্মিনাল তৈরির জন্য ভৌগোলিক সমীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দিকে আরও ২টি প্ল্যাটফর্ম করা হবে। সব ক’টি প্ল্যাটফর্মেই যাত্রীশেড করা হবে। এখন সাঁতরাগাছিতে একটি মাত্র ওভারব্রিজ আছে স্টেশনের এক প্রান্তে। স্টেশনের অন্য প্রান্তে আরও একটি ওভারব্রিজ করা হবে। সাঁতরাগাছি স্টেশন এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে ঝিলটি না-বুজিয়ে এলিভেটেড স্টেশন ভবন তৈরি করা হবে। এ ছাড়া স্টেশনের প্রবেশপথে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের নীচে বর্তমান সাবওয়েটির পাশে আরও একটি সাবওয়ে তৈরি করা হবে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে স্টেশনে সরাসরি আসার জন্য নতুন একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ২০১৫-র জুনের মধ্যেই পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “সাঁতরাগাছিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল স্টেশনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাঁতরাগাছিতে দু’টি অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। ঝিল না-বুজিয়ে ওপরে সিমেন্টের চাদর দিয়ে নতুন এলিভেটেড স্টেশন বিল্ডিং করা হবে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপর ও নীচ দিয়ে রাস্তা হবে। আরও একটি ফুট ওভারব্রিজ করা হবে। এ ছাড়া কনকোর্স সার্কুলেটিং এরিয়ার উন্নয়ন, সব প্ল্যাটফর্মে শেল্টার ও প্রয়োজনীয় যাত্রী পরিষেবা সংযোজন করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৯৮.৬৫ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।” পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। |
|
সাঁতরাগাছিতে এখন অধিকাংশ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। কিছু মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনও এখন সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ছে। স্টেশনের পাশেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভাল। যাত্রীরা খুব কম সময়েই কোনা এক্সপ্রেস দিয়ে কলকাতায় পৌঁছতে পারেন। বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে এক দিকে যেমন খুব সহজেই কলকাতায় পৌঁছনো যায়, তেমনই ৬ ও ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যায়। লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের অধিকাংশ যাত্রীই এখন হাওড়ার পরিবর্তে সাঁতরাগাছিতে নেমে পড়েন। সেই কারণেই সাঁতরাগাছিতে টার্মিনাল স্টেশন করার পরিকল্পনা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-’১২-য় সাঁতরাগাছিতে টার্মিনাল করার এই পরিকল্পনা মঞ্জুর হয়েছে। নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ, প্রয়োজনীয় যাত্রী পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য-সহ সাঁতরাগাছি স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ‘ইরকন’-কে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টার্মিনাল তৈরির জন্য ভৌগোলিক সমীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দিকে আরও ২টি প্ল্যাটফর্ম করা হবে। সব ক’টি প্ল্যাটফর্মেই যাত্রীশেড করা হবে। এখন সাঁতরাগাছিতে একটি মাত্র ওভারব্রিজ আছে স্টেশনের এক প্রান্তে। স্টেশনের অন্য প্রান্তে আরও একটি ওভারব্রিজ করা হবে। সাঁতরাগাছি স্টেশন এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে ঝিলটি না-বুজিয়ে এলিভেটেড স্টেশন ভবন তৈরি করা হবে। এ ছাড়া স্টেশনের প্রবেশপথে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের নীচে বর্তমান সাবওয়েটির পাশে আরও একটি সাবওয়ে তৈরি করা হবে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে স্টেশনে সরাসরি আসার জন্য নতুন একটি রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ২০১৫-র জুনের মধ্যেই পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার বলেন, “সাঁতরাগাছিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল স্টেশনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাঁতরাগাছিতে দু’টি অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। ঝিল না-বুজিয়ে ওপরে সিমেন্টের চাদর দিয়ে নতুন এলিভেটেড স্টেশন বিল্ডিং করা হবে। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপর ও নীচ দিয়ে রাস্তা হবে। আরও একটি ফুট ওভারব্রিজ করা হবে। এ ছাড়া কনকোর্স সার্কুলেটিং এরিয়ার উন্নয়ন, সব প্ল্যাটফর্মে শেল্টার ও প্রয়োজনীয় যাত্রী পরিষেবা সংযোজন করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৯৮.৬৫ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।” |
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
|
|
|
|
|