সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে গিয়ে এক বন্ধুর তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র ব্যবহার করার অভিযোগে এক সেনাকর্মীকে আটক করল পুলিশ। আটক কর্মী অভিজিত্ সাহার বাড়ি সাঁইথিয়া থানার জিউই গ্রামে। ময়ূরেশ্বরের নান্দুলিয়ার বাসিন্দা আদিবাসী যুবক কল্যাণ মুদির অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিজিতবাবুকে আটক করে। কল্যাণবাবুর অভিযোগ, “সাঁইথিয়া অভেদানন্দ কলেজে পড়ার সময়ে অভিজিতের সঙ্গে পরিচয় হয়। বোনের হারিয়ে যাওয়া শংসাপত্র বের করার জন্য গত ১৫ মার্চ রামপুরহাট এসডিও অফিসে যোগাযোগ করি। তখনই জানতে পারি আমার নাম ব্যবহার করে অভিজিত্ একটি শংসাপত্র ২০১২ সালে বের করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে এ দিন আমি বন্ধুকে কিছু না জানিয়ে এসডিও অফিসে আসতে বলি।” এসডিও রত্নেশ্বর রায়ের দাবি, “অভিযুক্ত জেরায় তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। সমস্ত বিষয় পুলিশকে জানানো হয়েছে।” অভিযুক্ত অবশ্য বলেন, “আমি ফেঁসে গিয়েছি। এর বেশি কিছু বলার নেই।”
|
পূর্ণীদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ে টেস্টে ফেল করা ছাত্রীদের পাশ করানোর ঘটনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল আচার্যের দফতর। রাজভবন থেকে চিঠি পেয়ে শুক্রবারই কলেজের অধ্যক্ষ সুনীলবরণ মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো হয়। সুনীলবাবু বলেন, “বর্ধমানে গিয়ে মৌখিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি নিয়ে যা বলার বলেছি।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ফেল করা ২৫ জন ছাত্রীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইনস্পেক্টর অফ কলেজে’স দেবকুমার পাঁজা বলেন, “গোটা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সম্প্রতি ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। |