সারা রাত নিখোঁজ থাকার পরে একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল কাটোয়া পুলিশ। মৃতের নাম অচিন্ত্য দাস (২৩)। তাঁর বাড়ি কলেজ মাঠের কাছে ইন্দিরা পল্লিতে। মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, অচিন্ত্যকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে। এর পিছনে কার্তিক চৌধুরী নামে এক যুবকের হাত রয়েছে সন্দেহ করে তাকে গাছে বেঁধে মারধর করেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মৃতের মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। তবে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তার দেহে ধ্বস্তাধ্বস্তিরও কোনও প্রমাণ নেই। কাটোয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, “ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কই মৃত্যুর কারণ বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অচিন্ত্যর বাড়িতে একটি ফোন আসে। ফোন পাওয়ার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁকে না পেয়ে সকালে নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৃতের বাবা সঞ্জিতবাবু। বিকেলে জানতে পারেন, কলেজ মাঠের কাছে নির্মীয়মান একটি বাড়ির ভিতরে ছেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। সঞ্জিতবাবু বলেন, “শনিমন্দিরের পাশের সব্জি বিক্রেতা কার্তিক চৌধুরী আমার ছেলেকে ফোন করে ডাকে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে তার সঙ্গেই কাটাত অচিন্ত্য।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অচিন্ত্যর। ছাত্রীর বাবা কার্তিককে ‘কাজে লাগিয়ে’ তাদের সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্কুলছাত্রীটি প্রায় তিন মাস ধরে অচিন্ত্যর সঙ্গে কোনও ‘সম্পর্ক’ রাখেনি।
বাসিন্দাদের দাবি, কার্তিকই ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে অচিন্ত্যকে। কার্তিক-সহ পাঁচ, ছ’জন শনিমন্দিরকে সামনে রেখে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না বাসিন্দারা। তবে কার্তিকের দাবি, “আমি ফোন করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু এই মৃত্যুর ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।” শরীর খারাপ থাকায় অচিন্ত্যর ‘খোঁজ’ও নিতে পারেনি সে। |