শান্তিবন চত্বরে গাছ কেটে জলাধার তৈরির প্রকল্প ঘিরে বিতর্কে কংগ্রেস তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পাশে দাঁড়াল বামেরা। কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মরা তোর্সা নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় শান্তিবনে ৩৮৬টি গাছ কেটে জলাধার, জল শোধনাগার তৈরির জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। গাছ কাটার জন্য পুরসভার তরফে বন দফতরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কংগ্রেস পুর চেয়ারম্যানের বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ সবুজ ধ্বংস এড়িয়ে বিকল্প জায়গায় ওই প্রকল্প গড়ার দাবিতে সরব। গত বুধবার বন দফতরের ডিএফওকে ছাত্র পরিষদের তরফে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম নেতা মহানন্দ সাহা অবশ্য প্রকল্পের প্রশ্নে পুর কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিকল্প জায়গার চেষ্টা করেও তা না মেলায় জনস্বার্থে কিছু গাছ কেটে শান্তিবনে জল প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। ওই ব্যাপারে বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের জন্য ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জমি কেনার টাকা পুরসভার নেই। তাই ওখানে প্রকল্প না হলে তো টাকা ফেরত যাবে।” তিনি জানান, জনস্বার্থে আমরাও গাছ কাটার পক্ষে আপত্তি জানায়নি। তা ছাড়া যত গাছ কাটা হবে তার অনেক বেশি গাছ লাগানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “নাগরিক স্বার্থ প্রকল্পে জড়িত থাকায় আমরাও আপত্তি করতে চাইছি না।”
|
এক কলোনির ৪৯টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ৬টি বাড়ি পুড়ল তপনেও। অপর একটি ঘটনায় ভস্মীভূত হয়েছে এক তাঁতশিল্পীর বাড়ি। আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয় দমকল কর্মীদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরে গঙ্গারামপুরে উত্তর বেলবাড়ির মাসনাতলা কলোনিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ভোর ৩টা নাগাদ গঙ্গারামপুরের পূর্ব হালদারপাড়া এলাকায় শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে তাঁতশিল্পীর বাড়িতে। ভস্মীভূত হয় শাড়ি তৈরির সরঞ্জাম। অগ্নিদগ্ধ হন তাঁতশিল্পী বৈদ্যনাথ দাস। তাঁকে মালদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গঙ্গারামপুরে উত্তর বেলবাড়ির মাসনাতলা কলোনিতে উনুন থেকে একটি বাড়িতে আগুন লাগে। প্রবল হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। টিন ও বেড়ার বাড়িগুলি নিমেষে পুড়ে যায়। প্রায় একই সময়ে সাড়ে ১১টা নাগাদ তপন থানার রামপাড়াচেঁচড়ার জোড়মূলে অপর একটি অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থেকে দুটি ইঞ্জিন চলে যায়। সেখানে ৬টি বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। দমকল আধিকারিক সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় জানান, একই সময় দু’টি জায়গায় আগুন লাগায় সমস্যা হয়। মাসনাতলায় দমকল পৌঁছনোর আগেই সেখানকার ৪৯টি বাড়ি পুড়ে যায়।
|
দেড়শো বিঘার গম খেত পুড়ল |
ছাই হয়ে গেল প্রায় ১৫০ বিঘা জমির গম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার ব্লকের জয়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনপুকুর এলাকায়। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চাষিরাই প্রথমে গম খেতে আগুন জ্বলতে দেখেন। তাঁরাই পুকুর থেকে বালতি করে জল তুলে তা গমখেতে ছড়িয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কৃষি দফতর সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ জন চাষির গমচাষ নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ইটাহারের ব্লক কৃষি আধিকারিক বিপ্লব বিশ্বাস জানান, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
বাম আমলে গঙ্গারামপুরের কালদিঘি বাৎসরিক লিজের টাকা অঙ্ক ছিল ৬০ হাজার টাকা। নয়া সরকারের আমলে একই জেলা পরিষদের দিঘির লিজের দরপত্র জমা পড়ল ৩ লক্ষ থেকে ১১ লক্ষ টাকা। আর এতেই অস্বস্তি বাড়ল সিপিএম পরিচালিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের। গত বুধবার বালুরঘাটে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়া ৭ ব্যবসায়ীর দরপত্র খোলা হতেই বিষয়টি সামনে আসে।
|
অনুপ্রবেশে ধৃত ১১ বাংলাদেশি |
অনুপ্রবেশে ১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে দিনহাটা থানা এলাকায় তাঁদের ধরা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৫ জন মহিলা ও ৪টি শিশুও রয়েছে। দিনহাটা থেকে কোচবিহারে আসার পথে বাংলাদেশের রঙপুরের ওই বাসিন্দাদের গ্রেফতার করা হয়।
|
আগুন লেগে ছাই হল ২৬টি বাড়ি। পুড়ে গিয়েছে পাঁচটি দোকান এবং একটি অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্র। বুধবার রাতে ধুবুরি জেলার গৌরীপুর থানার ফরসাদপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। টিপকাই নদীর ওপর সেতু না থাকায় দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। বাসিন্দাদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
|
আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবককে ধরেছে পুলিশ। বুধবার রাতে বক্সিরহাট থানার বালাকুঠি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম অমল বর্মন। তার বাড়ি বালাকুঠি এলাকায়।
|