নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি |
জিএনএলএফের প্রতিষ্ঠা দিবস ৫ এপ্রিলই পাহাড় জুড়ে নানা সভার পরিকল্পনা করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আজ, শুক্রবার তাই পাহাড় জুড়েই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোর্চা পাহাড়ে কর্তৃত্ব কায়েমের পর থেকে এতদিন দার্জিলিং পাহাড়ে কার্যত কোনও দলীয় কর্মসূচি নিতে পারেনি জিএনএলএফ। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের ক্ষেত্রেও গোলমালের আশঙ্কায় প্রশাসনের অনুমতি পায়নি তারা। প্রায় ৬ বছর পরে এই দিন দার্জিলিং পাহাড়ের ৩ মহকুমায় ফের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে চলেছে সুবাস ঘিসিংয়ের দল। এখন পাহাড়ে সিআরপি রয়েছে। পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার জন্য বারবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে শাসক দল তৃণমূলও। তারপর থেকে জিএনএলএফ বেশ কয়েকবার পাহাড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনও করেছে। সেই কারণেই এ বার বড় করে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসও পালন করার পরিকল্পনা করে তারা।
কিন্তু সেই একই দিনে দার্জিলিঙের চকবাজার, কালিম্পঙের ডম্বরচক, মিরিক ময়দান, কার্শিয়াং বাসস্ট্যান্ডের মতো পাহাড়ের যে সব জায়গায় বড় সভা করা যায়, সে সব জায়গাতেই দলীয় সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মোর্চাও। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে তারা সে জন্য পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রেখেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, পাহাড়ে যাতে কোনওভাবেই জিএনএলএফের প্রভাব বাড়তে না পারে, সেই জন্যই রীতিমতো পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছে মোর্চা।
তবে প্রশাসন জানিয়েছে, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পং এবং শিমুলবাড়িতে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে জিএনএলএফকে। সুখিয়াপোখরি, সোনাদার কাছে বালাসন, মিরিকেও একটি করে সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জিএনএলএফ নেতা নিমা লামা জানান। তবে কোনও সভায় দলের সভাপতি ঘিসিং নিজে যাবেন, এমন খবর পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নেই। ঘিসিং এখন জলপাইগুড়ির অরবিন্দনগরের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। জিএনএলএফের দাবি, ঘিসিং শীঘ্রই পাহাড়ে যাবেন।
মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি অবশ্য বলেন, “আমরা জিটিএ গড়লেও আমাদের লক্ষ্য গোর্খাল্যান্ড। জিএনএলএফ তো পাহাড়ের জন্য ষষ্ঠ তফসিল চায়। কাজেই পাহাড়ের মানুষ ওঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন কিছু লোকজন থাকলেও ওঁদের সংগঠন একেবারেই নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। আমরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করব। কোনও গোলমাল হবে না। মিটিং-মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে।” উত্তরবঙ্গের আইজি অনুজ শর্মাও বলেন, “পাহাড় নিরাপত্তার ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। আধা সামরিক বাহিনী রয়েছে। পুলিশের বাড়তি বাহিনীও টহল দিচ্ছে। আশা, কোথাও কোনও গোলমাল হবে না।” |