নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) প্রধান সচিব নিয়োগ-সহ অনেক ক্ষেত্রে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি বহির্ভূত কাজ হচ্ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছে তার শুনানি হবে আগামী বুধবার। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ওই শুনানির দিন ধার্য করেন। জিটিএ-এর তরফে মামলার প্রতিলিপি কেবল রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে বলে আদালতে সরকারি তরফে জানানো হয়। বিষয়টি ত্রিপাক্ষিক হলেও কেন্দ্রের কাছে মামলার কোনও প্রতিলিপি পাঠানো হয়নি। তা শুনে বিচারপতি দীপঙ্করবাবু মামলার প্রতিলিপি কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উচ্চ আদালত সূত্রের খবর, ওই মামলায় জিটিএ-র হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে জিটিএ গঠন হয়। তা অনুসারে যে কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেওয়া উচিত। কিন্তু রাজ্য সরকার অনেক ক্ষেত্রে আলোচনা ছাড়াই একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।” পাশাপাশি, রাজ্য সরকার জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না এবং আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এই অভিযোগ করেন জিটিএ-র মূল আইনজীবী প্রবাল মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, জিটিএ-এর প্রধান সচিব পদে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার অমরেন্দ্র কুমার সিংহকে বসানোর যে প্রস্তাব রাজ্য দিয়েছে তাও চুক্তি মেনে হয়নি।
গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে জিটিএ-এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের দূরত্ব বাড়ে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সম্পর্ক খাদের কিনারায় চলে যায়। সম্প্রতি মোর্চার দাবি মেনে রাজ্য কিছুটা সুর নরম করে জিটিএ-এর প্রধান সচিব পদ থেকে দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনকে সরিয়ে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার এ কে সিংহকে বসানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু, জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গের পক্ষ থেকে এ কে সিংহকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। গুরুঙ্গের তরফে জানানো হয়, জিটিএ আইন অনুযায়ী কাউকে প্রধান সচিব পদে বসানোর প্রস্তাব দেওয়ার আগে একটি নামের প্যানেল পাঠাতে হবে জিটিএ চিফের কাছে। পক্ষান্তরে, সরকারের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে জিটিএ গঠিত হয়েছে তাতে প্যানেল পাঠানোর কথা থাকলেও পরে জিটিএ আইনে অনেক কিছুই পাল্টেছে। |