চিকিৎসকদের একাংশ ছুটিতে যাওয়ায় হাসপাতালে অর্থোপেডিক, চর্মরোগ, চোখ, নাক-কান-গলা, শল্য চিকিৎসার বহির্বিভাগ সপ্তাহে অধিকাংশ দিনই বন্ধ থাকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ওই অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা বিক্ষোভ দেখান। ওই সমস্ত বিভাগ বন্ধ দেখে দিন কয়েক ধরে ঘুরে গিয়েছেন সাহুডাঙির প্রিয়বালা বর্মন, হায়দরপাড়ার অমর দাসের মতো একাধিক রোগী। বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা দেখে তাঁরা একসঙ্গে সুপারের দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জেনে ক্ষুব্ধ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিকও। তিনি বলেন, ‘“হিসেব না করে চিকিৎসকদের ছুটি দিলে সমস্যা তো হবেই। সেই কারমে বহির্বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে তা হতে পারে না। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলব। তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা নিতে বলা হবে।” হাসপাতালের সুপার সঞ্জীব মজুমদার জানিয়েছেন, কয়েকটি দফতরে চিকিৎসকদের একাংশ ছুটিতে থাকায় এবং এ দিন একাংশ চিকিৎসক অন্য কাজে থাকায় অন্তত পাঁচটি বহির্বিভাগ খোলা যায়নি। হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট এ দিন থেকে ৫ দিনের ছুটিতে যাওয়ায় ওই বিভাগের কাজকর্মও বন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্তত ১০ জন রোগী আলট্রাসোনগ্রাফি করাতে গিয়ে ফিরে গিয়েছেন। তার মদ্যে হাসপাতালে ভর্তি এক কিশোরও রয়েছে। গরিব পরিবারের ওই বাসিন্দাদের পক্ষে মোটা টাকা খরচ করে বাইরে থেকে আলট্রাসোনগ্রাফি করানো অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন। |
দু’শোরও বেশি স্কুল পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। দক্ষিণ পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের একটি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে জিয়াং শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার একসঙ্গে বমি ও ডায়ারিয়া শুরু হয়। সঙ্গে প্রবল জ্বর। বৃহস্পতিবার সকালে আরও কিছু পড়ুয়ার একই উপসর্গ দেখা যায়। তাদেরও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মোট দু’শো তিন পড়ুয়া এখন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা এখন স্থিতিশীল। কী কারণে একসঙ্গে এত ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। |