নজিরবিহীন, জানালেন জয়রাম
রাজ্যে গ্রামীণ সড়কে বিপুল বরাদ্দ কেন্দ্রের
রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দু’দিন আগেই মনমোহন সিংহ সরকার জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট না হলে গ্রামোন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বন্ধ করে দেবে কেন্দ্র। কেননা সংবিধান অনুযায়ীই তখন আর বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে কোনও বঞ্চনা হচ্ছে না তাও আজ বুঝিয়ে দিতে চাইল কেন্দ্র। সেই বার্তা দিতে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় সড়ক নির্মাণ ও মেরামতির জন্য প্রকল্পে আজ অনুমোদন দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এই প্রকল্পে মোট খরচ হবে ১৩৯০ কোটি টাকা। তার মধ্যে নতুন সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৬৬ কোটি টাকা। প্রকল্প অনুমোদন করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জয়রাম এও জানিয়ে দিলেন, নজিরবিহীন ভাবে বরাদ্দ করা হল পশ্চিমবঙ্গের জন্য।
কেন্দ্রের এই ঘোষণার সময় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ, আগামী ৮ তারিখ দিল্লিতে আসছেন মমতা। রাজ্যের জন্য যোজনার আয়তন স্থির করতে তিনি বৈঠক করবেন যোজনা কমিশনের সঙ্গে। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হচ্ছে, দিল্লি সফরে রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক অবরোধের প্রতিবাদে সরব হবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও অভিযোগ করেছেন, “ইউপিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর থেকেই অসহযোগিতা করছে কেন্দ্র। বিশেষ করে ক্রমাগত বরাদ্দ ছাঁটাই করছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।”
কিন্তু দিল্লিতে তৃণমূলনেত্রীর সেই ঝাঁঝালো আক্রমণের আগেই আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্পে কৌশলে ছাড়পত্র দেন জয়রাম। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে জয়রাম জানিয়েছেন, “গত ডিসেম্বরেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য ১৪৯১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এখন অতিরিক্ত আরও ৮৬৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হল। অন্য কোনও রাজ্যের জন্য এ ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”
তবে এই কথা বলার পাশাপাশি জয়রাম চিঠিতে এও বলেন, কেন্দ্র বরাদ্দ করছে ঠিকই। কিন্তু রাজ্যকেও এবার প্রকল্প রূপায়ণ করে দেখাতে হবে। কারণ, প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হলে খরচ বাড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার শর্ত অনুযায়ী খরচ বাড়ার দায় ও ঝুঁকি কিন্তু তখন রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে।
অনেকে মনে করছেন, আসলে দু’দিকই রক্ষা করতে চাইছেন জয়রাম রমেশ তথা কংগ্রেস নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোট না হলে বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের হাত শক্ত করতে চাইছেন। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে রাজ্যের উন্নয়নে সহযোগিতা করে ভবিষ্যতের দরজাও খুলে রাখতে চাইছেন। কারণ, অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেও, দৃশ্যত এখন কিন্তু তা বন্ধ করেছেন জয়রাম। বরং সম্প্রতি তিনি মমতাকে ফোন করেছিলেন। তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য সময়ও চেয়েছিলেন।
কংগ্রেসের একাংশের মতে, এ বার তৃণমূল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললে রাজ্য কংগ্রেসও পশ্চিমবঙ্গ কী হারে কেন্দ্রীয় সাহায্য পাচ্ছে তা জানাতে পারবে। কেন্দ্রের টাকায় প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হলেও রাজ্য সরকারকে চেপে ধরতে পারবেন প্রদীপ ভট্টাচার্য-অধীর চৌধুরীরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.