|
|
|
|
ওপড়াল গাছ, বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, ঝড়ে লন্ডভন্ড গ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢোলাহাট ও হিঙ্গলগঞ্জ |
ক্ষণিকের ঝড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে লন্ডভন্ড হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট ও উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম। উপড়ে পড়ে গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু মাটির বাড়ি। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। রাত পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পুরো হিসেব করে উঠতে পারেনি প্রশাসন। |
|
ভেঙে পড়েছে টিনের চাল। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ঝিরঝিরে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় শুরু হয় ঢোলাহাটে। নন্দকিশোরপুর, ফটিকবেড়িয়া, কিশোরপুর, বেলুনি, কোচকল এবং শঙ্করপুর গ্রামে অন্তত ১০টি কাঁচাবাড়ি সম্পূর্ণ এবং প্রায় ৪০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার জানিয়েছেন, শঙ্করপুর গ্রামের বছর দেড়েকের একটি শিশু সেই সময়ে পুকুর পাড়ে খেলছিল। ঝড়ে টাল সামলাতে না পেরে সে পুকুরে পড়ে যায়। তাকে কুলপি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
কুলপির বিডিও সেবানন্দ পণ্ডা বলেন, “ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ি ভেঙেছে। শুক্রবার সকালে এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ পাঠানো হবে।”
হিঙ্গলগঞ্জে ঝড় হয় বেলা ১১টা নাগাদ। মামুদপুর, বিশপুর, বাঁকড়ার মতো কয়েকটি এলাকায় ওই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মিনিট দুয়েক। তার দাপটেই ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ। ওই সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন বামপন্থীরা। পাহারায় ছিল পুলিশ। ঝড়ের দাপটে হিঙ্গলগঞ্জ কলেজের চিলেকোঠার ঘরের ছাদে থাকা একটি টিন উড়ে এসে লাগে পুলিশকর্মী তপন দাসের মাথায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হিঙ্গলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
|
|
|
|
|