ঘরের নামে ‘ঘুষ’ নেওয়ায় অভিযুক্ত উপপ্রধান
টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিবন্ধী ও তাঁর মামাকে মারধরের অভিযোগ
ন্দিরা আবাস যোজনায় ঘর দেওয়া নিয়ে বচসায় প্রতিবন্ধী এক যুবক ও তাঁর মামাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এক প্রতিবন্ধীকে মারধর করতে দেখে ক্ষুব্ধ জনতা ওই উপপ্রধান ও তাঁর সঙ্গীদের মারধর করে বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনরা দেগঙ্গার চৌরাশি পঞ্চায়েতে।
বুধবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালে মনিরুজ্জামান মোল্লা নামে তৃণমূলের ওই উপপ্রধান জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে একটি দোকনঘরে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে। পরে দেগঙ্গা থানার ওসি বিশাল বাহিনী নিয়ে গিয়ে উপপ্রধানকে উদ্ধার করেন। প্রহৃত প্রতিবন্ধী আমিরুল হকের মামার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কাতির্কপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইন্দিরা আবাসের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ওই উপপ্রধান তাঁদের কাছে টাকা নিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আমিরুল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দেগঙ্গার মাটিকুমড়া গ্রামে বাড়ি মনিরুজ্জামানের। ওই গ্রামেই পলিথিন শিটের তাঁবুতে বাস করেন আমিরুল। বিপিএল তালিকায় না থাকা আমিরুলের বক্তব্য, “এক বছর আগে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার জন্য মামাকে নিয়ে উপপ্রধানের কাছে গিয়েছিলাম। সেই সময় ঘর পাওয়ার জন্য উপপ্রধানকে দেড় হাজার টাকা দিতে হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও এতদিন ঘর না পেয়ে বুধবার রাতে মামাকে নিয়ে জীবনপুর বাজারে উপপ্রধানের কাছে গিয়েছিলাম টাকা ফেরত চাইতে।” তাঁর অভিযোগ, “টাকা ফেরত দেওয়া তো দূরের কথা, আমাদের চোর অপবাদ দিয়ে লোকজনদের নিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে।”
এ দিকে বাজারের মধ্যে এক প্রতিবন্ধী ও তাঁর মামাকে মারধর করতে দেখে ক্ষুব্ধ জনতা উপপ্রধান ও তাঁর লোকজনদের ঘোরাও করে। উপপ্রধান টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জনতার ক্ষোভ থেকে বাঁচতে তিনি একটি মোবাইলের দোকানে ঢুকে সাটার ফেলে দেন। এর পর পুলিশ গিয়ে জনতাকে শান্ত করে তাঁকে উদ্ধার করে।
পুলিশের কাছে মনিরুজ্জামানের দাবি, “সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই বিরোধীরা পরিকল্পনা করে ওই প্রতিবন্ধীকে দিয়ে আমার নামে টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।” এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পঞ্চায়েতের প্রধান নার্গিস বিবি।
দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি ইসমাইল মল্লিক বলেন, “ইন্দিরা আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে উপপ্রধান কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই। তবে ওই প্রতিবন্ধীকে মারধর ঘটনা একেবারেই অবাঞ্ছিত। এটা উচিত নয়। কারণ, এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.