ফের নতুন করে অস্ত্রোপচার হয়েছে মুর্শিদাবাদের ছাত্রনেতা জোসেফ আজম হোসেনের হাতে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গিয়ে বুধবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জোসেফকে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক অনুপম গোলাস। এদিন ওই ছাত্রনেতার হাতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে ওই অস্ত্রোপচার চলেছে। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের জোসেফ মঙ্গলবার কলকাতায় বামফ্রন্টের ছাত্র সংগঠনের ডাকে আইন অমান্যে যোগ দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৯ ঘন্টা ধরে সেখানেই তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার হয়। এর পরেই বুধবার রাতে তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ভালকুন্দি গ্রামের ছেলে জোসেফ এসএফআইয়ের খড়গ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই কলকাতায় জোসেফের সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে রয়েছেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা। ধ্রুবজ্যোতি বলেন, “সূর্যকান্ত মিশ্রের পরামর্শে ওই চিকিৎসকের অধীনে বেসরকারি ওই হাসপাতালে জোসেফকে ভর্তি করানো হয়। আগামী ছ-মাসের মধ্যে হাত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে এদিন অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসক আশ্বাস দিয়েছেন।” হাসপাতালের চার তলায় আইসিইউ-তে জোসেফ রয়েছেন। এদিন ভালকুন্দি গ্রাম থেকে জোসেফকে দেখতে তাঁর এক মামা ও জামাইবাবু কলকাতায় গিয়েছেন। অস্ত্রোপচারের সময়ে তাঁরা দু’জনেই হাসপাতালে ছিলেন।
বাম ছাত্র সংগঠনের ডাকে এদিন রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্কুল-কলেজও এদিন বন্ধ ছিল। পিএসইউ-এর জেলা নেতা আরফাত শেখ বলেন, “যে সমস্ত স্কুলে পরীক্ষা ছিল, সেই গুলি ধর্মঘটের আওতার বাইরে ছিল। এদিন বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা আমাদের ছাত্র ধর্মঘটকে সমর্থন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সহযোগিতা করেন।” |