সুদীপ্তর মৃত্যুতে মর্মাহত |
বামেদের প্রতিবাদে বন্ধ বহু বিদ্যালয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুলিশি প্রহরায় এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। ধর্মঘটের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল পরীক্ষাকে। মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে এই কর্মসূচি।
ধর্মঘটের সমর্থনে এ দিন সকাল ১১টা থেকে তমলুক শহরের মানিকতলায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক ও তমলুক-পাঁশকুড়া সড়কের সংযোগস্থলে অবরোধ শুরু করেন ডিওয়াইএফ-এর সমর্থকরা। অবরোধ কর্মসূচির জেরে ওই দুই ব্যস্ত সড়কে যানবাহন আটকে পড়ে। তবে কোনও গণ্ডগোল হয়নি।
মেদিনীপুর-খড়্গপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুলের সামনে এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হন। ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করেন তাঁরা। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্কুলের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। |
|
বৃহস্পতিবার বিকেলে তমলুক শহরে বামফ্রন্টের প্রতিবাদ মিছিল। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের সামনেও এমন ঘটনা ঘটে। যদিও শেষমেশ অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি। কম ছাত্রছাত্রী আসায় বৃহস্পতিবার জেলার একাংশ স্কুলে অন্য দিনের মতো পঠনপাঠন হয়নি। কোনও স্কুল বেলা সাড়ে ১২টায়, কোনও স্কুল বেলা দেড়টায় ছুটি হয়ে যায়। এসএফআইয়ের দাবি, ছাত্র ধর্মঘট সফল। ছাত্রছাত্রীরা ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়েছে।
সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার বক্তব্য, “কিছু জায়গায় পুলিশ জোর করে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করেছে। তবে আমরা ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন পেয়েছি। ছাত্র ধর্মঘট সফল হয়েছে।” একই বক্তব্য সংগঠনের জেলা সভাপতি সোমনাথ চন্দের। তাঁর কথায়, “পুলিশ চেষ্টা করেও ধর্মঘট ভাঙতে পারেনি। ছাত্রছাত্রীরা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে।”
এ দিন রাজ্য জুড়ে সকাল ১১টা থেকে ১১টা ১৫ পর্যন্ত প্রতীকী অবরোধ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুরে এই কর্মসূচি হয় বেলা ১২টা থেকে ১২টা ১৫ পর্যন্ত। ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ বলেন, “প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষ সামিল হয়েছে।” বামফ্রন্টের পক্ষ থেকেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় এদিন ধিক্কার মিছিল হয়। মিছিলে পা মেলান দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। |
|
|
মানিকতলায়
পথ অবরোধ। |
মেদিনীপুরে বামেদের ধিক্কার
মিছিল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
|
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ে আবার এসএফআই-ডিওয়াইএফের অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। এসএফআইয়ের পশ্চিম জেলা কমিটির সদস্য সৌতম মাহাতোর দাবি, “লাঠির ঘায়ে দশ জন নেতা-কর্মী অল্পবিস্তর আহত হন।” প্রতিবাদে ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। |
|