ফের ভোটের দাবি
তৈমুরকে বহিষ্কার করল সিপিআই
কাউন্সিলর তৈমুর আলি খানকে দল থেকে বহিস্কার করল সিপিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে আর দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
সিপিআইয়ের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটি এই কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। দলীয় সূত্রে খবর, সুপারিশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়। দলের জেলা নেতৃত্ব এই বৈঠক করেন। সেখানেই ওই সুপারিশে সিলমোহর দেওয়া হয়। শুধু বহিষ্কারই নয়, তৈমুর যে ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, সেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফের নির্বাচনের দাবি জানান সিপিআই নেতৃত্ব। দলের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক অসিত বসাকের বক্তব্য, “উনি দলের প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে ফের নির্বাচন জরুরি। আমরা সেই দাবিও জানাচ্ছি। ওঁনার উচিত, জনসমর্থন যাচাই করে নেওয়া। সিপিআইয়ের প্রতীকে জিতে সিপিআই- বিরোধী কাজ করলেন। নির্বাচন হলে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।” সিপিআই নেতার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বহিষ্কৃত কাউন্সিলর তৈমু মন্তব্য, “ফের নির্বাচন? উনি কী আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াবেন!”
তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে, মেদিনীপুরে
রেলশহরে কানাঘুষো চলছে, তৈমুর তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এ নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে তৃণমূলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছেন। যদিও এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন ওই কাউন্সিলর। তাঁর কথায়, “অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়া নিয়ে কিছুই ভাবিনি। যদি কিছু প্রচার চলে তাহলে পুরোটাই রটনা। ভাবার সময় এলে ভাবব।” প্রসঙ্গত, তিন সিপিআই কাউন্সিলরের এক চিঠি ঘিরে গত ক’সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলেছে খড়্গপুরে। মার্চের গোড়ায় খড়্গপুরের মহকুমাশাসককে এক চিঠি দেন লিপিকা বাগদি, মমতাজ কুদ্দুস এবং তৈমুর আলি খান এই তিন সিপিআই কাউন্সিলর। চিঠিতে জানানো হয়, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে কেন পুরপ্রধান হিসেবে দেখতে চাইছেন সিপিআই কাউন্সিলররা, তা নিয়েই শুরু হয় বিড়ম্বনায় পড়েন সিপিআইয়ের জেলা নেতৃত্ব। কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। ক’দিন আগে লিপিকা বাগদি এবং মমতাজ কুদ্দুস দলীয় নেতৃত্বের আর্জি মেনে চিঠি প্রত্যাহার করে নেন। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তৈমুর।
এরপর সিপিআই নেতৃত্ব তাঁকে শো-কজ করেন। শো-কজের উত্তরও দেন ওই কাউন্সিলর। সেই সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর দলের খড়্গপুর শহর লোকাল কমিটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ওই কাউন্সিলরকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়। বহিষ্কারের সুপারিশ জেলায় পৌঁছয়। বৃহস্পতিবার দলের জেলা নেতৃত্ব সেই সুপারিশেই সিলমোহর দেন। দল থেকে তাঁকে বহিস্কার করে দেওয়ার প্রসঙ্গে ওই কাউন্সিলরের বক্তব্য, “বহিষ্কারের আগেই তো আমি পদত্যাগ করেছি। ফলে, এই সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়। অন্তত, আমার কাছে প্রত্যাশিত।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.