|
|
|
|
বিদেশি সংস্থার শেয়ার বিক্রির জের |
সূচক, টাকার পতন অব্যাহত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অব্যাহত শেয়ার ও টাকার পতন। বৃহস্পতিবারও সেনসেক্স পড়েছে ২৯১.৯৪। টাকা ৪৪ পয়সা।
এই নিয়ে টানা দু’দিনে মোট ৫৩১.২৫ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার বাজার। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সূচক ছিল ১৮,৫০৯.৭০ অঙ্কে। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, চাঙ্গা হওয়ার মতো উপাদান বাজারে নেই এখন।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, “বাজার বাড়ার সম্ভাবনা এখন নেই বললেই চলে। উল্টে আরও পড়ার আশঙ্কাই করছি।”
যাদের লগ্নির উপর সূচক চাঙ্গা হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে, সেই বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলির মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে বলে বাজার সূত্রে খবর। পিটিআইয়ের খবর, তারা বুধবারই প্রায় ৩৭০ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করেছেন দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে। লগ্নি সংস্থাগুলি মনে করেছিল, ইউপিএ সরকার আর্থিক ক্ষেত্রে তাদের ঘোষিত সংস্কারগুলি বাস্তবায়িত করলে জোয়ার আসবে ভারতের শেয়ার বাজারে। তারা ক্রমাগত লগ্নিও করছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় সরকারের অস্তিত্বই সঙ্কটে। ফলে সংস্কারের ব্যাপারে আইন প্রণয়নের বিষয়টিও অনিশ্চিত। ফলে হতাশ বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ভারত থেকে লগ্নি তুলে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই প্রবণতা যত বাড়বে, তত পড়বে বাজার। অবশ্য শুধু সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েই সমস্যা নয়। কেন্দ্র পরিকাঠামো ক্ষেত্রে খরচের যে-পরিকল্পনার করেছিল, তা-ও স্তিমিত। বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “পরিকাঠামোয় লগ্নি বাড়লে বাড়ত উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান। যা উৎসাহ দিত শেয়ার বাজারকে।”
এ দিকে, আর্থিক ক্ষেত্রে সমস্যাই টাকার দাম কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দিন টাকা ৪৪ পয়সা পড়ায় প্রতি ডলারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৮৭ টাকা। |
|
|
|
|
|