|
|
|
|
হাটের পরিষেবা চান গরু-ব্যবসায়ীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
ক্রেতা এবং বিক্রেতা হাত ধরাধরি করে তা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন। তার পরে আঙুল টিপে টিপে কাপড়ের নিচে চলল দামদর। দাম পছন্দ না হওয়ায় হাত সরিয়ে নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক খদ্দেরের সঙ্গে একই কায়দায় দরদাম শুরু করলেন বিক্রেতা। কত দরে কেনাবেচা চলছে জানতে পারছেন না কেউ। চিত্রটি আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকে দক্ষিণ চকোয়াক্ষেতির গরুর হাটের। হাটের দরদামের পুরোনো এই রীতির মতো বদল ঘটেনি হাটের অবস্থারও। গরমের রোদেই চলছে গরু বিক্রি। |
|
চকোয়াখেতির গরুর হাট।—নিজস্ব চিত্র |
প্রতি মঙ্গলবার ভিন জেলা ও রাজ্য থেকে আসা কয়েকশ গরু কেনা বেঁচা চলে হাটে। ব্যবসায়ী ও হাট কমিটির অভিযোগ, প্রায় ৩০-৩৫ বছরের এই পুরানো হাটে গরু বেচাকেনা করতে বিহার, নেপাল, ভুটান, কোচবিহার, দার্জিলিং-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাসিন্দারা আসেন। হাতের একদিন এলাকায় থাকার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় লাগোয়া এলাকার বাড়িগুলিতে তাঁরা রাতে থাকেন। ২৫-৩০ বিঘা জমিতে গড়ে ওঠা হাটে মাত্র তিনটি শেড রয়েছে। গরমে ও বর্ষায় সমস্যায় পড়তে হয় হাটে আসা ব্যবসায়ীদের। গরুর হাট হিসাবে গড়ে উঠলেও গরুর খাবার বা জল রাখার ব্যবস্থা নেই। বর্ষায় কাদায় চলাচল করতে হয়।
কালচিনির জয়েন্ট বিডিও অনুসূয়া দত্ত বণিক বলেনস “শেড, গরুবারের খাবার ও জলের পাত্র না থাকার মতো সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। সবই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।” আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিমলা সিংহ রায় জানান, হাটটি লিজে দেওয়া রয়েছে। বছরে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা আয় হয়। খাজনা সংগ্রহের জন্য লোক রয়েছে। তার বেতন এই টাকা থেকেই দিতে হচ্ছে। বাকি যা টাকা থাকছে তা দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই গত বছর একটি শেড করা হয়েছে। রাস্তার বালি-পাথরও ফেলা হয়েছে।
গো-ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আবুল হোসেন জানান, রাত অবধি হাটে কেনাবেচা চললেও বিদ্যুৎ নেই। নেই নিকাশি। পুন্ডিবাড়ি ফালাকাটা থেকে হাটে আসা ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, আমিরুদ্দিন মিঁয়া, হাফিকুল মিঁয়া জানান, প্রতিটি গরু বিক্রির জন্য ২৫ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। কিন্তু কার্যত কোনও পরিষেবাই পাইনি। |
|
|
|
|
|