|
|
|
|
চিনিকলকে অবাধে বিক্রির অনুমতি |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পেট্রোল এবং ডিজেলের (আংশিক) পর এ বার চিনির দামও প্রায় পুরোপুরি বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার পথে পা বাড়াল কেন্দ্র।
দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার চিনি ক্ষেত্রের আংশিক বিনিয়ন্ত্রণের প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। কেন্দ্রের দাবি, এর ফলে কখন কতটা চিনি বাজারে বিক্রি করা হবে, এ বার তা নিজেরাই ঠিক করবে চিনিকলগুলি। থাকবে না রেশন দোকানে জোগানোর জন্য সরকারকে কম দামে উৎপাদনের একটি বড় অংশ বিক্রি করার বাধ্যবাধকতাও। আর এ সবের দৌলতে আগামী দিনে ভারতে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার এই লোভনীয় বাজারে লগ্নি করতে আগ্রহী হবে বহু সংস্থা। সময়ে ভাল মজুরি পাবেন আখ-চাষিরাও। |
|
এত দিন রেশন দোকানে বিক্রির জন্য রাজ্য সরকারকে নিজেদের উৎপাদনের ১০% (লেভি চিনি) বিক্রি করতে বাধ্য ছিল চিনিকলগুলি। কিন্তু এ বার সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না। ফলে গণবণ্টন ব্যবস্থার জন্যও সংস্থার কাছ থেকে বাজার দরেই চিনি কিনতে হবে রাজ্যগুলিকে। পরে অবশ্য সেই বাবদ টাকা তাদের মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র। এর ফলে কেন্দ্রের উপর নতুন করে আরও ৫,৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকির বোঝা চাপবে বলে মেনে নিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস।
শুধু তা-ই নয়। এত দিন প্রত্যেক তিন মাসে কতটা চিনি খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে, সংস্থাগুলিকে তা স্পষ্ট করে দিত কেন্দ্রই। কিন্তু এখন থেকে সেই বাঁধনও আর থাকবে না। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সংস্থাগুলিই। তবে এই দু’য়ের ফলে অন্তত এখনই চিনির দাম বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনমোহন সরকারের দাবি।
জোট রাজনীতির হাজারো বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও সংস্কারের রথে সওয়ার থাকার প্রতিশ্রুতি বুধবারই সিআইআইয়ের মঞ্চে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তার পর চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে-না-পেরোতেই বিনিয়ন্ত্রণের এই সিদ্ধান্ত শিল্পকে সদর্থক বার্তা দেবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে বিনিয়ন্ত্রণের এই প্রস্তাব অবশ্য অনেক আগেই দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজন। সেই সঙ্গে ছিল চিনিকলগুলির লাগাতার চাপ। লাল ফিতের ফাঁস আলগা হওয়ার আশায় এ দিন চড়েছে তাদের অধিকাংশের শেয়ার দরও। অনেকেই মনে করছেন, এ দিনের ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট শিল্প তো খুশি হবেই, সেই সঙ্গে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশের মতো আখ-চাষ বা চিনি শিল্প বলয়ে রাজনৈতিক ‘ডিভিডেন্ড’ও পাবে কংগ্রেস। |
|
|
|
|
|