এক বছর বেহাল জাতীয় সড়ক, বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন
প্রায় এক বছর ধরে কোচবিহার থেকে বক্সিরহাটগামী ৩১-নম্বর জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, ছোটখাটো দুর্ঘটনা ছাড়াও খানাখন্দে যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। এতে যানজট ও নিত্যভোগান্তি লেগেই রয়েছে। সমস্যা মেটাতে রাজ্য পূর্ত দফতরের কাছে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তারপরেও অবশ্য কবে বরাদ্দ মিলবে তা স্পষ্ট নয়।
বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীদের জানান, খাগরাবাড়ি থেকে বক্সিরহাট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের ৩৫ কিমি রাস্তার মধ্যে ১৪ কিমি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাস, ছোট গাড়ি, ট্রাক মিলিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে দৈনিক গড়ে এক হাজারের বেশি যানবাহন যাতায়াত করে। তারমধ্যে অসমগামী যানবাহনের সংখ্যা বেশি। গুরুত্বপূর্ণ ওই জাতীয় সড়ক মেরামতের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
খানাখন্দে ভরা পথ। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বেহাল জাতীয় সড়ক ঘিরে মানুষের ভোগান্তি মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকারের বরাদ্দে রাস্তার হাল ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার পরিষদীয় সচিব রবীন্দ্রনাথবাবু গত ২১ মার্চ কলকাতায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার পরেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ২৪ মার্চ রাস্তার হাল সরোজমিনে ঘুরে দেখে। এর পরে প্রায় ১৫ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করা হয়। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ওই জাতীয় সড়ক মেরামতের বরাদ্দ দিচ্ছে না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও উদাসীন। নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। আশা করছি, দুই মাসের মধ্যে রাস্তার মেরামত হয়ে যাবে।” এর পাশাপাশি খাগরাবাড়ি থেকে ফালাকাটা ও ফালাকাটা থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াতের বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতের ব্যাপারেও রাজ্য সরকার যথাক্রমে ৫৫ কোটি টাকা ও ৬৫ কোটি প্রকল্প নিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.