বালুরঘাট থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময়মত না চলায় নিত্যযাত্রী দুর্ভোগে। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনটির উপর নির্ভর করে চলে গৌড় লিঙ্ক ট্রেন। ইন্টারসিটি দেরি করে পৌঁছনোয় বালুরঘাট থেকে গৌড় লিঙ্ক এক্সপ্রেস দেরিতে ছাড়ছে। সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। বালুরঘাট স্টেশনের পরিকাঠামো ঠিক ভাবে গড়ে তোলা হয়নি। এই ভাবেই নয় বছর ধরে ট্রেন চলছে বালুরঘাট স্টেশন থেকে। স্টেশন ম্যানেজার সুব্রত দাস বলেছেন, “আলিপুরদুয়ার থেকে ইন্টারসিটি ফেরার সময় দেরি করায় সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
বালুরঘাট থেকে জলপাইগুড়ি একটি ট্রেনের দাবি ছিল। এনজেপি স্টেশন দিয়ে তা মেটানো হয়। ট্রেনটি বালুরঘাট থেকে সকাল ১০.৪০-এ ছেড়ে বিকেল ৫টায় শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা। জলপাইগুড়ির যাত্রীদের এনজেপিতে নেমে লোকাল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রিকশা অটো, ট্যাক্সি ধরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি মোড়, তিন বাতি মোড় বা এয়ারভিউ মোড়ে যেতে হয়। ট্রেনটি দেরিতে আসা-যাওয়ায় এনজেপি পৌঁছতে রাত ৮-৯টা বেজে যাচ্ছে। এনজেপি থেকে সকাল ১০.১০ -এ ছেড়ে ইন্টারসিটি বালুরঘাটে যাচ্ছে বিকাল ৩-৪০ মিনিট নাগাদ। ৫টা ৫ মিনিটে ইন্টারসিটির কোচ ও ইঞ্জিন নিয়ে গৌড় লিঙ্ক ট্রেন মালদহে রওনা হয়। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মালদহে পৌঁছে মূল এক্সপ্রেসের সঙ্গে বালুরঘাট লিঙ্ক শিয়ালদহে রওনা হওয়ার কথা।
ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় ৬ ঘণ্টায় ইন্টারসিটি বালুরঘাটে পৌঁছনোর কথা থাকলেও ঢুকছে ৪-৫ ঘণ্টা পরে। ইন্টারসিটির কামরা জুড়ে বালুরঘাট থেকে গৌড়লিঙ্ক এক্সপ্রেস ছাড়তে ৮টা, কোনও দিন রাত ১০টা হয়ে যাচ্ছে। বালুরঘাটের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত, তিনটি স্লিপার কোচ নিয়ে চলা এই ট্রেনটি মালদহে সময়মত পৌঁছাতে না পারায় গৌড় এক্সপ্রেসের বদলে গভীর রাতে অন্য ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে কলকাতায় পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। অসুস্থ এবং প্রবীণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।” দুর্ভোগের বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন বলে বালুরঘাট রেল ও যাত্রী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি পীযূষকান্তি দেব জানিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের তরফেও রেল প্রতিমন্ত্রীকে এই জেলার রেল পরিষেবার উন্নতিতে বালুরঘাটে ডবল লাইন, গঙ্গারামপুর স্টেশন উন্নয়ন, হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
ক্ষুব্ধ যাত্রী জানিয়েছেন, বালুরঘাট স্টেশনে ট্রেনের সাফাই এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ২০০৪ সালে বালুরঘাটে ট্রেন চালু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই স্টেশনকে মডেল স্টেশন করার কথা বলেছিলেন। তার ভিত্তিতে তৃণমূলের তরফেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রেলের যাত্রী পরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে এ বাবের বাজেট অনুমোদিত প্রকল্পগুলি দ্রুত শুরু জন্য আন্দোলন করার কথা বলা হয়েছে। |