জিটিএ-এর প্রধান সচিব পদ থেকে সৌমিত্র মোহনকে সরিয়ে অন্য ‘সিনিয়র’ অফিসারকে বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মহাকরণের প্রস্তাবিত অফিসারের নাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েও শাসক দলের সঙ্গে রাজনৈতিক দূরত্ব আগামী দিনে কমতে পারে বলে বলে ইঙ্গিত দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। বুধবার কালিম্পঙের মংপুতে জিটিএ-এর একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করতে গিয়ে জিটিএ চিফ বলেন, “আমরাও জিটিএ-এর মাধ্যমে পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন করছি। সেই কাজে সকলের সহযোগিতা চাই।”
এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে ক্রমশ যে ভাবে দূরত্ব ও সংঘাত বাড়ছে তাতে আগামী দিনে কী সহযোগিতা আশা করেন? গুরুঙ্গের জবাব, “রাজনীতিতে কোন দলের সঙ্গে কার সম্পর্ক কখন থাকবে তা চূড়ান্ত ভাবে কখনও বলা যায় না। এখন যাঁর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ, আগামী দিনে তা দারুণ ভাল হতেই পারে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না।” |
কালিম্পংয়ের মংপুতে সপার্যদ বিমল গুরুঙ্গ। বুধবারের নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা কমিটির তরফে গুরুঙ্গের সুর নরম করার মনোভাবকে স্বাগত জানানো হয়েছে। দলের জেলা কমিটির একাধিক নেতা জানান, গোটা পরিস্থিতির উপরে দলের শীর্ষ নেতারা নজর রাখছেন। তাঁরাই পর্যালোচনার পরে মন্তব্য করবেন বলে জেলা কমিটি জানিয়েছে।
এদিন মংপুতে দুটি নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। গত ৭ বছর থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সরকারি সিঙ্কোনা কারখানার ফের শিলান্যাস করেন। নতুন করে তা তৈরি করার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তিনি। কারখানার দায়িত্বে থাকা জ্ঞান চন্দ্র সুব্বা জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত নতুন কারখানা তৈরির জন্য কোনও টাকা মঞ্জুরি এখনও আসেনি। তা হলে কী ভাবে কারখানার কাজ শুরু হবে? জবাবে গুরুঙ্গ বলেন, “আমরা পরিকল্পনা করেই কাজ করছি। সে সব নিয়ে চিন্তা নেই।” এর পরে তিনি যান মংপুর রবীন্দ্র স্মৃতি হলে।
এর আগে জিটিএর প্রধান হিসেবে বিমল আনুষ্ঠানিকভাবে মংপুতে অর্কিড চাষ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অন্তর্গত ওই প্রকল্পের সূচনা হয়। |