টুকরো খবর
পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু, ধৃত এএসআই
জিপ চালানো শিখতে গিয়ে এক ব্যক্তিকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার এএসআই সৃজন ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ভাঙড়ের ভোজেরহাট এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম বিমল প্রামাণিক (৪১)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে। তিনি একটি লরিতে খালাসির কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জিপে রাতের টহলদারি সেরে সৃজনবাবু আরও কয়েক জন পুলিশকর্মীকে নিয়ে এ দিন ভোরে ভোজেরহাটের একটি দোকান থেকে চা খান। তার পরে চালকের আসনের বসে সৃজনবাবু গাড়ি চালানো শিখতে যান। গাড়িটি একটু গড়াতেই সামনে চলে আসেন বিমলবাবু। সৃজনবাবু আর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। জিপের ধাক্কায় বিমলবাবু পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গাড়িতেই প্রথমে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বিমলবাবুর মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়। তার পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এর পরে সেখান থেকে বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানোর সময়ে পথেই মৃত্যু হয় বিমলবাবুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানিয়েছেন, ওই থানাতেই সৃজনবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। সৃজনবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে এ দিনই বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

মহিলার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার
ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার হল মহিলার মুণ্ডহীন দেহ। বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসনাবাদ লঞ্চ ঘাট এলাকায়। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মহিলার পরিচয় জানার জন্য মহকুমার অন্যান্য থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতিহিংসা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ হাসনাবাদ লঞ্চ ঘাটের কাছে ইছামতী নদীর জলে বিবস্ত্র অবস্থায় এক মহিলার মুণ্ডহীন মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। উদ্ধার করার পর দেখা যায়, ওই মহিলার পেটও চিরে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বছর তিরিশের ওই মহিলার মৃতদেহ দেখে পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা সম্ভবত বিবাহিত এবং এক দিন আগে তাঁকে খুন করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে খুনের আগে মহিলার উপর কোনও অত্যাচার হয়েছিল কিনা তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা শিবির
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত হল তিনদিনব্যাপী বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা শিবির। গত সোমবার এই উন্নয়ন শিবিরের উদ্বোধন করেন নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক মহারাজ সদানন্দ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বুধবার এই শিবির শেষ হয়। মথুরাপুর-১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ওই শিবিরে অংশ নেয় মথুরাপুর-১ এবং ২ ব্লকের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও হাইমাদ্রাসা মিলিয়ে প্রায় ৭০টি বিদ্যালয়। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা। এই শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল, সমস্ত বিদ্যালয়কে আদর্শ বিদ্যালয় হিসাবে গড়ে তুলতে কোন কোন বিষয়ে সজাগ হওয়া দরকার সে বিষয়ে আলোচনা। আলোচনায় প্রস্তাব উঠে আসে প্রতিটি বিদ্যলয়ে লাইব্রেরী, জিমন্যাশিয়াম, আদর্শ খেলার মাঠ, ভাল ফুলের বাগান তৈরি করে শিশুমনের সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা, বালক-বালিকাদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা, পানীয় জলের সুব্যবস্থার। কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “জেলায় এই ধরনের শিবির প্রথম। শিক্ষার অধিকার আইনের সফল রূপায়ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রয়োগের বিষয়ে পারস্পরিক মত বিনিময় হয়েছে।”

চাষিদের ঠকালে কড়া ব্যবস্থা, ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রীর
ফসলের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। বুধবার হাবরার মছলন্দপুরে চাষি ও ভেন্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করার পর এই ঘোষণা করেন রাজ্য টাস্কফোর্সের সদস্য তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উপস্থিত ছিলেন টাস্কফোর্সের সদস্য কমল দে, চাতরা পঞ্চায়েতের প্রধান অধীর রায়, স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী। মন্ত্রীর অভিযোগ, প্রায়ই দেখা যায়, সকালে চাষিরা বাজারে যে দামে পাইকারি বিক্রি শুরু করেন, দুপুরের মধ্যে তা অর্ধেক হয়ে যায়। বাজারের পাইকারি মূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন ভেন্ডার এবং কলকাতা থেকে যারা জেলাতে ফসল কিনতে যাওয়া অন্যান্য বিক্রেতারা। সম্প্রতি এই জন্যই চাতরা বাজারে ফসল বিক্রি নিয়ে চাতরা বাজারে ভেন্ডার ও চাষিদের মধ্যে বেধেছিল ঝামেলা। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়, সে জন্য উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিটি বড় বাজারে সরেজমিনে তদন্তেও যাবেন তিনি বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।

টাকা-গয়না লুঠ
তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে অস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার, টিটাগড় থানার দেবপুকুরে। পুলিশ জানায়, ওই রাতে স্থানীয় বাসিন্দা মদনমোহন দাসের বাড়িতে হামলা চালায় পাঁচ জন দুষ্কৃতী। তালা ভেঙে ঢুকে আলমারি ভেঙে টাকা-গয়না নিয়ে পালায়। চিৎকার করলে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের হুমকিও দেয়। এলাকাটি নির্জন হওয়ায় প্রতিবেশীরাও কিছু টের পাননি। বুধবার ভোরে পরিবারের অন্যদের খবর দেন মদনমোহনবাবু। ব্যারাকপুরের এডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।”

সাগরে বসন্ত উৎসব
সম্প্রতি তিন দিন ধরে বসন্ত উৎসব পালন করা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের কয়লাপাড়ায়। উদ্যোক্তা ছিল স্থানীয় মহিলা সেবা সমিতি। গ্রামের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পাশে পালিত হয় এই উৎসব। ছিল কীর্তন গান যাত্রা ও কৃষ্ণের জীবন নিয়ে আলোচনা। এই উৎসব ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

নিরাপত্তার নির্দেশ
দুষ্কৃতীদের উপদ্রবে প্রসূন চন্দ্র নামে উত্তরপাড়ার এক চিকিৎসক উস্তি থানার সিরাকোলে পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না। দুষ্কৃতীরা হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। পুলিশকে বারবার জানিয়েও ফল না-হওয়ায় প্রসূনবাবু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি মুরারিপ্রসাদ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ও উস্তি থানার ওসি-কে নির্দেশ দেয়, প্রসূনবাবুরা যাতে নিরাপদে পৈতৃক বাড়িতে থাকতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.