নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
তৃণমূল নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বীতশ্রদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষেরাই এগিয়ে এলেন সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে। সরকারি জলপ্রকল্প নিয়ে এমনটাই ঘটেছে আরামবাগে।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আরামবাগের পার্বতীচক, সুভয়পুর ও ভাবাপুর পিছিয়ে পড়া গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত হয়। এরপরে গ্রামগুলিতে উন্নয়নের কাজে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। জলপ্রকল্প, ছাগলখামার, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র ও রাস্তাঘাট সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুভয়পুরে রাস্তা নির্মাণ, স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির মতো কিছু কাজ হয়েছে। জল প্রকল্পের কাজও প্রায় শেষের মুখে। তবে ভাবাপুরের মানুষের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি মেটেনি এখনও। আর সেখানেই সমস্যার শুরু।
মাস সাতেক আগে পানীয় জলের দাবিতে আরামবাগ ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেন ভাবাপুরের বাসিন্দারা। দু’মাস আগে সজলধারা নামে পানীয় জল প্রকল্পটির জন্য প্রশাসন থেকে ৮ লক্ষ টাকার অনুদান মেলে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় প্রকল্পের জায়গা নিয়ে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম আম্বিয়ার উদ্যোগে প্রকল্পটির জন্য ২ শতক জমি দান করেন স্থানীয় অজয় কুমার ঘোষ ও অশোক কুমার ঘোষ নামে দুই ভাই। দিন কুড়ি আগে সেই জায়গা মাপজোক করতে যান আধিকারিকেরা। তখনই ট্যাঙ্ক কোথায় বসবে সেই নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতারা। শাসক দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা প্রত্যেকেই দাবি করতে থাকেন তাঁদের তদারকিতেই কাজটি করতে হবে। সরকারি প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের এ হেন গোষ্ঠীকোন্দলে ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়ে জানান, তাঁরাই ওই জলপ্রকল্পের কাজটির তদারকি করবেন। এরপরই সরে আসেন বিবদমান তৃণমূল নেতারা।
গোষ্ঠীকোন্দলের কথা স্বীকার করে তৃণমূল নেতা গোলাম আম্বিয়া বলেন, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও উন্নয়নের স্বার্থেই সরে এসেছি। আমিত্ব দেখানোর জন্য দলের কেউ কেউ কাজে বাধা সৃষ্টি করছিল।” প্রায় একই সুর স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবু তাহের, শেখ কাজল ও ইমরান আলির গলাতেও।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ব্লকের অফিসাররা এ দিন ট্যাঙ্ক বসানোর জমি জরিপ করেন।
বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “বুধবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। গ্রামের উন্নয়নের প্রশ্নে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। নেতারাও গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।”
|
ক্রিকেট, ফুটবলে মাতল ডোমজুড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
সম্প্রতি ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল হাওড়ার ডোমজুড়ে। জয় ভট্টাচার্য স্মৃতি কাপ নামের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার যুগ্ম উদ্যোক্তা ছিল তেঁতুলতলা যুব সঙ্ঘ ও স্থানীয় পল্লিরক্ষী বাহিনী। মোট ৮টি দল যোগ দেয়। ফাইনালে দাশনগর আইটি কর্নার জগাছা মেড লাইফকে ৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন দাশনগর আইটি কর্নারের বাবলু সিংহ। ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়েছেন জগাছা মেড লাইফের রাজু পান। প্রতিযোগিতার সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অনিমেষ চট্টোপাধ্যায় ও সেরা বোলার হয়েছেন বুদ্ধদেব মণ্ডল। খেলাকে উপভোগ্য করে তোলে নিমাই চন্দ্রের ধারাবিবরণী। একদিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা ছিল স্থানীয় খাঁটোরা নেতাজি সঙ্ঘ। প্রতিযোগিতায় হাওড়া ও হুগলি মিলিয়ে মোট ৮টি দল যোগ দিয়েছিল। জমজমাট ফাইনালে দাশনগর যুব সঙ্ঘ টাইব্রেকারের মাধ্যমে ৫-৪ গোলে বড়গাছিয়া শান্তি সঙ্ঘকে হারায়। উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সমীর বর্মণ, ফুটবল কোচ রঘু নন্দী ও প্রাক্তন ফুটবলার সুবীর চট্টোপাধ্যায়। |