টুকরো খবর
বিদ্যুত্‌ সঙ্কট, প্রতিবাদ গ্রাহকদের
ঘন ঘন লোডশেডিং এবং লো-ভোল্টেজের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত্‌ সরবরাহ চালু রাখা, বিদ্যুত্‌ মাসুল কমানো-সহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে বুধবার জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সারা বাংলা বিদ্যুত্‌ গ্রাহক সমিতি (আবেকা)। নেতৃত্ব দেন সমিতির রাজ্য সহ-সভাপতি মধুসূদন মান্না, জেলা সম্পাদক জগন্নাথ দাস প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভে সামিল হন। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন সমিতির এক প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনির সঙ্গে দেখা করে। তাঁর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। প্রতিনিধি দলের হুঁশিয়ারি, দাবি খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে কৃষকদের নিয়ে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে লো-ভোল্টেজের সমস্যা চলছে। সঙ্গে রয়েছে লোডশেডিং। এ নিয়ে বেলদা, দাঁতন প্রভৃতি এলাকায় পথ অবরোধ- বিক্ষোভ হয়েছে। কৃষকদের বক্তব্য, লো-ভোল্টেজের ফলে চাষের ক্ষতি হয়েছে। সেচের জন্য পর্যাপ্ত জল মেলেনি। ফলে মাঠের ফসল মাঠেই শুকিয়ে গিয়েছে। বিদ্যুত্‌ গ্রাহক সমিতির অভিযোগ, সমস্যার কথা আগেই বিদ্যুত্‌ দফতরে জানানো হয়েছিল। প্রতি ব্লকে ডেপুটেশন হয়। তা-ও দফতরের পক্ষ থেকে সে ভাবে পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রতিবাদে এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি। এ দিন দুপুরে সমিতির সদস্যরা মিছিল করে কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছন। এখানে বিক্ষোভ চলে। অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি বাবদ কৃষকদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে সমিতির নেতৃত্বের বক্তব্য, লোডশেডিং এবং লো-ভোল্টেজের জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দফায় দফায় বিদ্যুত্‌ মাসুল বাড়ানো চলবে না। মাসুল কমাতে হবে। সমিতির জেলা সম্পাদক জগন্নাথ দাস বলেন, “আমরা অতিরিক্ত জেলাশাসককে (সাধারণ) স্মারকলিপি দিয়েছি। সমস্যার কথা জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

পুরপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ
আয়ের উত্‌স উল্লেখ করে সর্বসম্মতিক্রমে বাজেট পাশ করতে হবেএই দাবি নিয়ে বুধবার দুপুরে বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার পুরপ্রধানের কাছে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। গত বছরের জুনে পুর-নির্বাচনে বামেদের পুরসভা দখলের পরে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় গত ১৫ মার্চ পেশ হয় ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের বাজেট। মোট ৫৫ কোটি ৯৮ লক্ষ ১ হাজার টাকার ব্যায় বরাদ্দ ঘোষণা করেন পুর-কর্তৃপক্ষ। বাজেট ‘ত্রুটি ও অসঙ্গতিপূর্ণ’ অভিযোগ তুলে পুনরায় বাজেট সংশোধনের দাবি জানান তৃণমূল কাউন্সিলররা। বিরোধীদের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৬২ কোটি ২৭ লক্ষ ১ হাজার টাকার বাজেট করে পুরসভা। বিরোধিতার সুর কাটেনি এরপরও। তৃণমূলের অভিযোগ, পুরসভা গৃহকর, দোকানের শুল্ক বাড়িয়ে অতিরিক্ত টাকাটা তুলবে বলছে। অথচ, কোন কোন শিল্প সংস্থা পুরকর দেয়নি বা পুরসভার অতিথিশালা ও লক্ষ্মণ শেঠ পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ারে’র হস্টেল থেকে পাওনার কথা উল্লেখ নেই খসড়া বাজেটে। এমনকী পুরসভার দেনার তথ্যও নেই। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “বাজেট বাড়াতে বললেও সাধারণের ওপর বোঝা বাড়াতে বলিনি। আয়ের হিসেব ও দেনা-পাওনার যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করে আলোচনান্তে বাজেট পাশের দাবি জানিয়েছি। পুরপ্রধান গা-জোয়ারি দেখাচ্ছেন। তাই গণতান্ত্রিক অধিকারে ওঁর ঘরে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছি।” পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ মন্তব্য করতে চাননি।

মনোনয়ন তুলল না বামেরা
সমবায় সমিতির ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় নিশ্চিত করলেন তৃণমূল প্রভাবিত সদস্যরা। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে তৃণমূলের ৮২টি মনোনয়ন পত্র ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। মঙ্গলবারই তমলুকের আবাসবাড়িতে সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের প্রধান কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র তুলতে এসে মারধরের অভিযোগ করেছিলেন বাম প্রভাবিত প্রার্থীরা। বর্তমান পরিচালন সমিতির ডিরেক্টর জগন্নাথ জানা বলেন, “যে ভাবে ব্যাঙ্কের প্রবেশ পথ আটকে রেখে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের বাধা দিয়েছিলেন, তাতে কেউ আর মনোনয়ন জমা দিতে ভরসা পাননি।’’ বিরোধী দলের কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় নির্বাচনে তৃণমূলের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা নিশ্চিত। ব্যাঙ্কের বর্তমান পরিচালন সমিতির সভাপতি তৃণমূলের নিকুঞ্জ মান্না অবশ্য বলেন, “ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নির্বাচন যেহেতু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে প্রার্থী হয় না, তাই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া ওই ৮২ জনের রাজনৈতিক পরিচয় বলা সম্ভব নয়।” প্রার্থী পদে বামে প্রভাবিতদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, “মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।”

ছাত্র-যুব’র ধিক্কার মিছিল
পুলিশি প্রহরায় এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার দুই মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ধিক্কার মিছিল করল এসএফআই-ডিওয়াইএফ। এসএফআই-এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির ডাকে এ দিন তমলুক শহরের মানিকতলা মোড়ে জেলার বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত হয়। এরপর তাঁরা মিছিল করে শহরের জেলখানা মোড়, পৌরভবন, স্টিমারঘাট, বড়বাজার হয়ে তমলুক হাসপাতাল মোড়ে পৌঁছন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন এসএফআই-এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টানায়েক ও সভাপতি ইব্রাহিম আলি। তাঁদের দাবি, “পুলিশমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই হত্যার দায় নিতেই হবে।” খড়্গপুর, মেদিনীপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও মিছিল হয়। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে প্রতিবাদ সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ। দিলীপবাবু বলেন, “ওই মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই।” আজ, বৃহস্পতিবার জেলা জুড়ে পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে ১৫ মিনিটের অবরোধ হবে। এ দিন কলেজগুলোর সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধিক্কার মিছিল হয়।

যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন
যুব কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হল বুধবার থেকে। বিধানসভা, লোকসভা এবং প্রদেশ তিনটি স্তরের কমিটির জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে। বুধবার মেদিনীপুর লোকসভা এলাকার নির্বাচন হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ঘাটাল এবং ঝাড়গ্রাম লোকসভা এলাকার নির্বাচন রয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সুষ্ঠু ভাবেই সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.