|
|
|
|
জখম সাত |
শাসক দলের সংঘর্ষে গুলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর সদর ব্লকে। চলল গুলি, হল বোমাবাজি। বুধবার সকালের এই ঘটনায় দু’জনের পায়ে গুলি লেগেছে। জখম হয়েছেন আরও পাঁচ জন। মোট তিন জনের চিকিত্সা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশী বলেন, “এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গোলমালে জড়িতদের খোঁজ চলছে।” কিন্তু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল কেন? সদুত্তর এড়িয়ে দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “ওখানে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে বেশি কিছু জানি না।” |
|
মেডিক্যালে জখমেরা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষই মাথাব্যথার কারণ হবে বলে নানা মহল থেকে ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র বারবারই এ কথা বলেছেন। গত মাসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে জেলাশাসকদেরও একাংশও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আশঙ্কা যে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়, তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। ক’দিন আগেই কেশপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূলের দু’পক্ষ। এ বার সেই একই ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর সদর ব্লকের খাঙারডিহিতে।
দলীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় কোন্দল মূলত নব্য ও পুরনো তৃণমূলের। এক সময় জেলা নেতৃত্ব আলোচনার প্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা হাল ছেড়ে দেন। বুঝে যান, দুই গোষ্ঠীকে এক টেবিলে বসানো সম্ভব নয়। এই কোন্দলের জেরেই সংঘর্ষ বাধে এ দিন। পায়ে গুলি লাগায় জখম হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি শেখ জসিমুদ্দিন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছি। এক সময় যারা সিপিএম করত, সরকার পরিবর্তনের পর রাতারাতি তারা নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করছে। সিপিএম থেকে আসা এ রকম লোকেরাই এ দিন সকালে আচমকা হামলা করে।” স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা রঞ্জন সিংহের অবশ্য অভিযোগ, যারা হামলা করেছে, তারা দলের কেউ নয়, সিপিএমের লোক। তাঁর কথায়, “গুলি চলেছে। বোমাবাজি হয়েছে। এ সব সিপিএমের হার্মাদরা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।” অভিযোগ মানেনি সিপিএম। মেদিনীপুর গ্রামীণ জোনাল (পূর্ব) সম্পাদক নিরঞ্জন মাইতির কথায়, “তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি হয়েছে। ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয়।” |
|
|
|
|
|