|
|
|
|
গেট আটকে ছাত্র-বিক্ষোভ, হল না পরীক্ষা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
চাকরিতে প্রতারণার অভিযোগে আগের দিনই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পড়ুয়ারা। বুধবার সকালে হলদিয়ার ‘গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ কলেজের গেট আটকে পরীক্ষাও বাতিল করে দিল তারা।
লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ার’ পরিচালিত এই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এ বার ক্যাম্পাসিং খুবই কম হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে যে সংস্থাই কলেজে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাদের স্বাগত জানিয়েছেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একটি ‘কনসালটেন্সি’ সংস্থার মাধ্যমে ‘কোচার ইনফোটেক’ নামে একটি সংস্থাকে ক্যাম্পাসিংয়ে ডাকে কলেজ। তাতে চাকরি হয় তিনটি বিভাগ থেকে মোট ১৯ জনের। কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের জানান ৫ হাজার ৭৭০ টাকা মাসিক বেতন দেবে সংস্থাটি। কিন্তু সোমবার কাজে যোগ দিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারেন ট্রেনিং চলাকালীন ১ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। যা মেনে নিতে না পেরে তাঁরা কলেজ গেটের বাইরে মঙ্গলবার থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। পরে আন্দোলনে সামিল হন অন্য পড়ুয়ারাও। এ দিন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের নিয়ে গেট আটকে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এর জেরে দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। ঢুকতে পারেননি অধ্যাপক ও কর্মীরা।
ক্যাম্পাসিং তুলনায় কম হয়েছে মেনে নিলেও এ বার তৃতীয় অর্থাত্ অন্তিম বর্ষের প্রায় তিনশো পড়ুয়ার মধ্যে ৯২ জন চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, ৩৬ জনের মতো চাকরি পেয়েছেন মাত্র। চাপের মুখে পড়ে ‘ভুয়ো’ নিয়োগকারী এনে ক্যাম্পাসিংয়ের নামে প্রতারণা করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কম্পিউটার সায়েন্সের অন্তিম বর্ষের এক পড়ুয়ার কথায়, “কর্তৃপক্ষ দু’-চার জন লোককে সাজিয়ে এনে ক্যাম্পাসিং করাচ্ছে। তার ফল এখন বুঝছি। পরীক্ষা এসে গেলেও এখনও কেউই সে ভাবে চাকরি পাননি। তাই গেট আটকে কলেজ অচল করেছি আমরা। পরীক্ষা দিইনি।” কলেজের অধ্যক্ষ বিক্রমজিত্ চৌধুরী অবশ্য এ দিনও বলেন, “আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। আমাদের লোকজন ওই সংস্থার অফিসে গিয়েছেন। প্রথম মাস থেকেই পুরো বেতন দেবে সংস্থাটি। সেই সংক্রান্ত কাগজ হাতে পেলে ওদের দেখাব।” |
|
|
|
|
|