আন্তঃজেলা অ্যাথলেটিক মিটে ভাল ফল করল দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। ২৩ ও ২৪ মার্চ কলকাতার সাই (স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া)-তে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া।
প্রথম স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনার (৯০ পয়েন্ট) সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্যবধান ৩২ পয়েন্টের। তারা পেয়েছে ৬২। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়েছে নদিয়া। প্রতিযোগিতায় পুরুষ, মহিলা ও অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে ছিল ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৮০০ দৌড়। ছিল লংজাম্প, হাইজাম্প, শটপুট, জ্যাভেলিন, ডিসকাস থ্রো। অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে ছিল ৬০০ মিটার দৌড়ও। সমস্ত ইভেন্ট মিলিয়ে পুরুষ বিভাগে সেরা হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষ নস্কর। মহিলা বিভাগে সেরা খেলোয়াড় মেদিনীপুরের আভা খাঁটুয়া। অনূর্ধ্ব ১৪য় বালক বিভাগে সেরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঞ্চয় কুমার পাল। বালিকা বিভাগে হুগলির ঈশিকা পাল।
উত্তরবঙ্গের মুখ রেখেছে মালদহ, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুর। পুরুষ বিভাগে লং জাম্পে সোনা জিতেছেন মালদহের পিণ্টু মণ্ডল। মহিলাদের ডিসকাসে সোনা তুলে নিয়েছেন জলপাইগুড়ির দেবিকা রায়। অনূর্ধ্ব ১৪য় ৬০০ মিটার দৌড়ে সোনা পেয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের ছোট্টু মুর্মু। শট পুটে প্রথম হয়েছেন মালদহের নাজিমুল হক। তুলনায় বেশ খারাপ ফল করেছে পুরুলিয়া ও বীরভূম।
হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রতিযোগিতা নতুন প্রতিভা খোঁজার একটা জায়গা। এই প্রতিযোগিতা থেকেই পিঙ্কি প্রামাণিক-সহ অনেক জাতীয় ক্রীড়াবিদের উত্থান হয়েছে।”
প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগে সেরা ১৯ বছর বয়সী সুভাষ নস্করের স্বপ্ন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। তিনি বলেন, “কিছুদিন পরেই জাতীয় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পাতিয়ালায় যাচ্ছি।” দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন মহিলা বিভাগে শটপুটে সোনাজয়ী রীতা মণ্ডলও। কিন্তু বাধা পারিবারিক অবস্থা। বললেন, “চাকরির খুব দরকার। না হলে হয়তো খেলা বন্ধ করে দিতে হবে।” |