আইপিএল-এ বেটিং-চক্রে জড়িত অভিযোগে বুধবার শিলিগুড়ি থেকে তিন জনকে ধরল কমিশনারেটের গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রধাননগর থানার দাগাপুরে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি ফ্ল্যাট থেকে ধরা পড়া ওই তিন জনের মধ্যে রবি সিংহ মঙ্গদ প্রধান ‘বুকি’। তার বাড়ি কলকাতার ভবানীপুরে। অন্য দু’জনের মধ্যে কলকাতার দেবেন্দ্র রোডের বাসিন্দা রিন্টু পাল, রবির শাগরেদ। তৃতীয় জন, অনিল মাসকারে ডালখোলার ব্যবসায়ী। দাগাপুরের ফ্ল্যাটটি তার।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার আনন্দ কুমার জানান, ধৃতদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল, একটি পাম-টপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড এবং নগদ ৬৪ হাজার টাকা আটক করা হয়েছে। তাঁর দাবি, “শিলিগুড়িতে বসে সেলফোনের মাধ্যমে কলকাতায় বেটিং চালাচ্ছিল ধৃতেরা। ওদের কাছ থেকে আটক করা জিনিস ঘেঁটে এবং জেরা করে আরও কারা এই চক্রে জড়িত, তা দেখা হচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জুয়া ও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের কলকাতাতেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে গোয়েন্দারা জানান। |
কলকাতায় নাইট রাইডার্সের সঙ্গে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের খেলা ছিল বুধবার। প্রাথমিক তদন্তের পরে গোয়েন্দাদের অনুমান, কলকাতায় আইপিএল ম্যাচ ঘিরে পুলিশের নজরদারি বেশি থাকবে আঁচ করে শিলিগুড়িতে দাগাপুরে ঘাঁটি তৈরি করে ওই বেটিং-চক্র। একটি খাতায় ‘রেজিস্টার’ তৈরি করা হয়। অনলাইনে ‘দর’ জানানো হচ্ছিল গ্রাহকদের। এ দিনের ম্যাচে ‘ফেভারিট’ ধরা হয়েছিল নাইট রাইডার্সকে। এ দিন দুপুরে ওই ফ্ল্যাটে বসে টাকা লেনদেন করছিল ধৃতেরা। সে সময় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারটের এসিপি পিনাকী মজুমদার, ইনস্পেক্টর রাজেন ছেত্রীর নেতৃত্বে পুলিশ হানা দেয় সেখানে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, বেটিংয়ের জন্য কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে রবি সিংহ মঙ্গদের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেটিং-এর টাকা লেনদেন হচ্ছিল। সে টাকা তোলার জন্য পাঁচটি এটিএম কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে আটক করা ‘রেজিস্টার’-এ কলকাতার কিছু ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। |