নারিনে মজেছেন তিনি। এতটাই যে খেলা শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে বলে গেলেন, “গত বার কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে আসল লোক ছিল ওই নারিন। এ বারও গম্ভীরের ম্যান ‘উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম’ ওই ক্যারিবিয়ানই। এ বারও নারিন ভোগাবে বাকিদের।” বক্তা আর কেউ নন। নাইটদেরই প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আগেই জানিয়েছিলেন প্রথম ম্যাচে মাঠে আসবেন। এ দিন ক্লাবহাউসের লোয়ার টায়ারে বসে শুরু থেকেই ম্যাচ দেখলেন ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’। কর্পোরেট কিংবা হসপিটালিটি, কোনও বক্সেই তিনি যাননি। তবুও সৌরভ মাঠে আসতেই তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের সেই চেনা আকুতি। বোঝা যাচ্ছিল, আইপিএল সিক্সে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থাকুন চাই না থাকুন, কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি পান চাই না পান, এই মহানগরে মহানায়কের বক্স অফিস পড়ছে না, পড়বে না। নাইট সংসারে না থাকলেও পুরনো দলের সঙ্গে সৌরভের একাত্মতা বোধও হয়তো কমেনি। না হলে নারিনের প্রতিটা উইকেটে তাঁর চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল কেন? |
প্রথম আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা। এ দিনও প্রথম ম্যাচে জয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই শুরুর ম্যাচটা ভাল যায় না কেকেআরের। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই হেসে ফেললেন মহারাজ। বললেন, “সবে তো আইপিএল শুরু। এই ফর্মটাই গম্ভীরদের আগামী দু’মাস ধরে রাখতে হবে। আশা করছি, পারবে। দলটার বোলিং গভীরতা রয়েছে। তবে বীরুর না খেলাটা আজ একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে গেল।”
গত বছর পুণের অধিনায়ক ছিলেন। তাঁকে ঘিরে ধর্মসঙ্কটে পড়ে গিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ লগ্নে আর পারেনি সৌরভের দল। এ বার তিনি আইপিএলে নেই। আর পুণে ওয়ারিয়র্সের এ বারের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ বলছেন, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি প্রাক্তন অধিনায়কের অভাবটা টের পাবেন। তাঁর কথায়, “সৌরভ যখন কেকেআরের ক্যাপ্টেন ছিল, তখনও আমি কেকেআরে ছিলাম। আবার যখন পুণে-র ক্যাপ্টেন হল, তখনও ওর অধিনায়কত্বে খেলেছি। |
ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি, ওর মতো ক্যাপ্টেন খুব কমই আছে ক্রিকেট বিশ্বে। অধিনায়ক হিসেবে ও কেমন, সেটাও সবাই জানে। কোনও সন্দেহ নেই ওর বিশাল অভিজ্ঞতাকে মিস করব।” তবে জয়ললিতা সরকার যে ভাবে চেন্নাইয়ে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে, সেটা মোটেই পছন্দ হচ্ছে না অ্যাঞ্জেলোর।
আর এখানেই ফের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে সৌরভের শহরের সামনে। সিএবি সূত্রের খবর, এ দিন অরুণ জেটলি-সহ বোর্ডের প্রথম সারির একঝাঁক কর্তার সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে সিএবি কর্তাদের। সে ক্ষেত্রে চেন্নাইয়ের দু’টো এলিমিনেটর ম্যাচ পেতে পারে কলকাতা। |