টুকরো খবর
বটানিক্যাল গার্ডেন: মাছ মরল কেন, দেখতে চাইল আদালত
বটানিক্যালের লেকে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে গার্ডেনের সব লেকের জলের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, লেকগুলিতে কী ভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে তা দেখতে হবে। পাশাপাশি, আশপাশের যে সব বরফ কারখানা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে সেগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। এর আগে মাছ মরে যাওয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোর্টকে জানিয়েছিলেন, আশপাশের কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য লেকে মিশে যাওয়ায় এই ঘটনা। বটানিক্যাল রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার শুনানি হয় বুধবার। ২৯ মার্চ বটানিক্যালের সাদির লেকে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরেন সুভাষবাবু। তখনই মুখ্য বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়। বটানিক্যালের তরফে অভিযোগ করা হয়, পাশের সরকারি আবাসনের বর্জ্য পুরসভার নর্দমায় ফেলার পরে তা গিয়ে লেকে মিশে দূষণ ছড়ায়। সব শুনে আদালত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ছাড়াও হাওড়া পুরসভাকে নির্দেশ দেয়, বটানিক্যালের পরিবেশের উন্নতিতে সব সাহায্য করতে। রাজ্য আবাসন পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে।

পুরনো খবর:
কারখানার দূষণে ফসল নষ্ট
কারখানার দূষণে চাষের জমি নষ্ট হচ্ছে, এই অভিযোগে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের দ্বারস্থ হলেন কয়েকটি পরিবার। জামুড়িয়ার বিজয়নগরের ওই পরিবারগুলির দাবি, দূষণের জেরে বিঘের পর বিঘে জমিতে ফসল লাগিয়েও লাভ হচ্ছে না। কারখানার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ওই এলাকার বাসিন্দা যমুনা পাল এবং গুণময় পালরা জানান, তাঁদের পরিবারের শরিকি মালিকানায় ৭০ বিঘে জমি ছিল। এর মধ্যে আট বছর আগে ৩০ বিঘা জমি একটি স্পঞ্জ আয়রণ কারখানা কিনে নেয়। বছর দুয়েক পর থেকেই বাকি জমিতে ফসল প্রায় ফলছেই না। কারখানা কর্তৃপক্ষ এলাকার মধ্যেই নিজেদের বর্জ্য ঢেলে মজুত করে রাখছে। হাওয়া দিলেই তা উড়ছে ও তাঁদের কৃষিজমিতে পড়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে। এরই সঙ্গে ওই কারখানার দূষিত জল চাষ জমির উপর দিয়ে বইছে। ফলে তাঁরা জমিতে ফসল লাগালেও প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাচ্ছে না। কারখানা কর্তৃপক্ষকে বারবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও আদতে তা দিচ্ছে না। তাঁরা পরিবার-সহ আর্থিক কষ্টে ভুগছেন। কারখানার জিএম (এইচআর) সুমিত চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের কারখানার আবাসিক কর্মীদের জন্য কারখানা চত্বরেই আমরা ফসল ফলাচ্ছি। কই আমাদের তো ফসল নষ্ট হচ্ছে না। কিন্তু কীভাবে ওদের এমন ক্ষতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়া চলতি বাজার দরে ওই জমি যদি মালিকেরা বিক্রি করতে চান, তাহলে সেটা নিয়েও ভাবব আমরা।”

হাতির মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট
উত্তরবঙ্গে বারবার ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। হাতির মৃত্যু ঠেকানোর নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে শক্তিনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং অন্য কয়েক জন মামলা করেন। হাতির মৃত্যু বন্ধে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.