রাস্তা তৈরির জন্য গাছ কাটা হলেও তৈরি হল না রাস্তা। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ উলুবেড়িয়া শহরের বাসিন্দারা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া শহরে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। সমস্যা দূর করার জন্য রাস্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ত দফতর। তার জন্য রাস্তার পাশের গাছ কাটার জন্য বন দফতরের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। স্থানীয় ওটি রোডের ধারের চল্লিশটি গাছ কাটার অনুমতি মেলে। বন দফতর থেকে শর্ত দেওয়া হয়, কেটে দেওয়া গাছের দ্বিগুন গাছ লাগাতে হবে।
অনুমতি পাওয়ার পর টেন্ডার ডেকে কাটা হয় গাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে চল্লিশটি গাছ কাটার অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল, বাস্তবে কাটা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি গাছ। কিন্তু রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
রাস্তা তৈরি হচ্ছে না কেন?
প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা হলে জানা গিয়েছে, রাস্তার পাশের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানগুলিই রাস্তা না বাড়াতে পারার অন্যতম কারণ। |
উলুবেড়িয়া মহকুমার সহকারী বাস্তুকার বিবেকানন্দ সামন্ত বলেন, “রাস্তার দু’ধারে প্রচুর দোকান রয়েছে। সেগুলি প্রশাসন সরিয়ে নিলেই আমরা কাজ শুরু করব।” উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ পূর্ত দফতরের উপর দোষ চাপিয়ে বলেন, “যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেটি পূর্ত দফতরের। সেখান থেকে আমরা কর পাই না। তাই হকার উচ্ছেদের দায়িত্ব আমাদের নয়।’’
স্থানীয় দোকানদারদের দাবি, তাঁরা পুরসভাকে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য টাকা দেন। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাঁদের উচ্ছেদ করা চলবে না। উলুবেড়িয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লার অভিযোগ, “শাসক দল তাঁদের দলীয় কর্মীদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই পরিকল্পনা ছাড়াই গাছ কাটা হয়েছে।”
উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক সুজয় আচার্য বলেন, “উলুবেড়িয়া থেকে কুলগাছিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ। ওই রাস্তার সব জায়গায় দোকান নেই। যেখানে নেই সেখানে রাস্তা শুরু করতেই পারে। পরে দোকানগুলি এমনিতেই সরে যাবে।” |