|
|
|
|
আইনে পরিণত যৌন নির্যাতন বিরোধী বিল |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ বিলে সম্মতি জানালেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। এই বিল অনুসারে ধর্ষণ ছাড়া অ্যাসিড ছোড়া, পিছু নেওয়া এমনকী লুকিয়ে ছবি তোলার মতো অপরাধের জন্য শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধীদের শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন থেকে শুরু করে ফাঁসি পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতির সই পাওয়ার পর বিলটি আজ থেকে পরিণত হল আইনে। দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ কাণ্ডের পর দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছিল তার জেরেই মহিলাদের নিরাপত্তার খাতিরে এই বিল।
এই আইনে বলা হয়েছে, মেয়েদের অনুসরণ করা এবং লুকিয়ে ছবি তুলতে গিয়ে দ্বিতীয় বার ধরা পড়লে তা জামিন-অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ধর্ষণের মতো অপরাধে একাধিক বার দোষী প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অ্যাসিড হানার মতো অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। অপরাধী কোনও পুলিশকর্মী, সরকারি কর্মচারী, সেনাবাহিনীর সদস্য কিংবা হাসপাতালের কর্মচারী হলে আজীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। মহিলা সংগঠনগুলির দাবি মেনে নিয়ে পিছু নেওয়া এবং লুকিয়ে ছবি তোলার মতো অপরাধের জন্য কড়া শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে। বিতর্কের পর অবশেষে এই আইনে যৌন সম্পর্কে সম্মতির বয়স ১৮ বছরই ধার্য করা হয়। এই আইনে বলা হয়েছে, অ্যাসিড হানা কিংবা ধর্ষণের পর কোনও মহিলা হাসপাতালে গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে এবং বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে।
নয়তো কড়া শাস্তি দেওয়া হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করা হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণের আইনেও। বলা হয়েছে, যৌন নিগ্রহের পর কোনও মহিলা যদি সাময়িক কিংবা সম্পূর্ণ ভাবে মানসিক অথবা শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন, তা হলে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে হবে না। বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি রেকর্ড করালেই হবে। |
|
|
|
|
|