|
|
|
|
অসমের বহু মেধাবীও জানে না শঙ্করদেব, লাচিত বরফুকনের নাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ছাত্র সংগঠন ও দলীয় বিধায়কদের একাংশ দাবি করলেও, আপাতত অসমে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ইতিহাস ও ভূগোল বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। বর্তমানে অসম মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (সেবা)-র মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমে ইতিহাস ও ভূগোল ঐচ্ছিক বিষয়। অ্যাডভান্স ম্যাথামেটিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স ও হিন্দির বদলে এ গুলি নেওয়া যায়। অভিযোগ ছিল, ‘সেবা’ ও দিল্লি বোর্ডের স্কুলগুলির মেধাতালিকায় থাকা অসমের ছাত্রছাত্রীরা শঙ্করদেব বা লাচিত বরফুকনের নাম জানে না। জানে না রাজ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনেক কিছুই। জানে না রাজ্যের ভূগোল, জেলার নাম, সীমানা, নদ-নদী, ভূ-প্রকৃতির কথা।
আসু দাবি তুলেছিল, মাধ্যমিক স্তর অবধি রাজ্যের ইতিহাস ও ভূগোল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। আজ শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, স্কুলের পাঠ্যক্রমে অসমের ইতিহাস ও ভূগোল বইয়ে নতুন অধ্যায় যোগ করা হবে। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরে ইতিহাস ও ভূগোল বাধ্যতামূলক বিষয় করা সম্ভব হবে না। শর্মা বলেন, “বর্তমানে দিল্লি বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা ম্যাট্রিক স্তরে ৫টি বিষয়ে পরীক্ষা দেয়। ‘সেবা’র ম্যাট্রিকে থাকে ছ’টি বিষয়। এর উপরে ইতিহাস ও ভূগোল আবশ্যিক করা হলে তাদের সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। বোঝা বাড়বে। পরিবর্তে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি অবধি পাঠ্যক্রমে স্থানীয় ইতিহাস ও ভূগোল বিষয়ে অতিরিক্ত অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।” তিনি জানান, নবম ও দশম শ্রেণির ইতিহাস-ভূগোল বইয়ে অসম সম্পর্কিত তথ্য আরও বেশি করে দেওয়া হবে। কংগ্রেস বিধায়ক অঞ্জন দত্ত বলেন, “মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের অসম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা উত্তর দিতে পারে না। অনেকে শঙ্করদেব, লাচিতের নাম জানে না। রাজ্যে ক’টি জেলা তাও জানে না। শিক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম না বদলালে ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজের রাজ্যকেই চিনবে না।” শিক্ষামন্ত্রীর মতে, যাঁরা অসমকে ভালবাসেন তাঁরা স্কুল পাঠ্যক্রমের বাইরেও ছেলেমেয়েকে নানা ভাবে রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভূগোল সম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারেন। ছাত্রছাত্রীদের জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। আবেগতাড়িত হয়ে তাদের উপরে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো যুক্তিসঙ্গত হবে না। |
|
|
|
|
|