|
|
|
|
সিপিএমকে এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না ‘মালে’ |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
সম্মিলিত মঞ্চ তৈরি হলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে তারা লড়াই করবে কিনা তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় সিপিআই-এমএল।
মঙ্গলবার থেকে রাঁচিতে সিপিআই-এমএলের (হিন্দি বলয়ে ‘মালে’ নামেই যার খ্যাতি) নবম কংগ্রেস শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৪০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত সম্মেলন চলবে। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপি-র অবনী রায়, মনোজ ভট্টাচার্যরা উদ্বোধনী সভায় যোগও দেন। শুরুর দিনই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট তাঁর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। নিজের শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি জানান, দলগত মতাদর্শ যেন কোনও ভাবেই সম্মিলিত বাম মঞ্চ (ইউনাইটেড লেফট প্ল্যাটফর্ম) তৈরির পথে বাধা না হয়। শুধুমাত্র বামপন্থীরাই দেশের রাজনীতিতে বিকল্প মঞ্চ তৈরি করতে পারবে। কারাট তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় আরও জানান, কংগ্রেস এবং বিজেপি-র মধ্যে কোনও তফাত নেই। তাঁরা যেমন কংগ্রসের নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন, তেমনই বিজেপির হিন্দুত্ববাদের রাজনীতির বিরুদ্ধেও লড়বেন। |
|
সিপিআই-এমএলের নবম কংগ্রেস। বুধবার রাঁচিতে মুন্না কামদার তোলা ছবি। |
কিন্তু তা সত্ত্বেও সিপিএম-কে এই মুহূর্তে ‘বিশ্বাস’ করতে চাইছেন না সিপিআই-এমএল প্রতিনিধিরা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁরা নিজেরাও এখন প্রায় সব জায়গাতেই বিরোধীর আসনে। তাই একটা ঐক্য তৈরি হয়েছে ঠিকই। সাম্রাজবাদ, বহুজাতিক সংস্থার নীতির বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়গুলির বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে এক হয়েছি। তবে তার পাশাপাশি নির্বাচনে এক সঙ্গে লড়াই করার বিষয়টি সমান্তরাল ভাবে চালানো যাবে কিনা সেটা দেখতে হবে।” দীপঙ্করবাবু না বললেও সিপিআই-এমএলের শ্রমিক সংগঠন, অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মুখোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট যে সিপিএমের সঙ্গে যৌথ ভাবে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে তাঁরা নিজেরাও দ্বিধায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, “অতীতে সিপিএম কখনও বিজেপি-র হাত ধরেছে। কখনও আবার কংগ্রেসের হাত ধরেছে। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের মত বিরোধ চলছে। সেখানে আবার সিপিএম কী করবে তার দিকেও আমরা নজর রাখছি। তাই নির্বাচনে একসঙ্গে লড়া নিয়ে এখনই কিছু ঠিক হয়নি।”
সিপিআই-এমএলের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষের কথায়, “এই মুহূর্তে হিন্দি বলয়ের জমি পেতে সিপিএমের কাছে আমরা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছি। একসঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে সেটাই একমাত্র কারণ কিনা তাও আমরা বুঝতে চাইছি।”
পুলিশি হেফাজতে কলকাতায় মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর। গত কাল সন্ধ্যাতেই সিপিআই-এমএলের সম্মেলন চলাকালীন এখানে সুদীপ্তর মৃত্যুর খবর আসে। প্রকাশ্য সভাতেই ঘটনার নিন্দা করে প্রস্তাব পাঠ করা হয়। দীপঙ্করবাবু আজ বলেন, “আমরা ঘটনার আইনি তদন্ত চাই। এবং দোষীদের শাস্তি চাই।” |
|
|
|
|
|