|
|
|
|
অসম-অরুণাচল থেকে আট জন অপহৃত উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসম ও অরুণাচলে অপহৃত আট জনকে উদ্ধার করল পুলিশ। পশ্চিম কামেং জেলার অপহরণের ঘটনাটি ঘটে ২৯ ও ৩০ মার্চ।
পুলিশ জানায়, এক গাড়ি দুর্ঘটনাকে ঘিরে ঘটনার শুরু। নিপকোর হয়ে কাজ করা রামকান্ত মিশ্র গাড়িতে নেচিফুর দিকে আসার সময় অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে তাঁর গাড়ির ধাক্কা লাগে। দ্বিতীয় গাড়িটির মালিক হানো জাখিও ও তাঁর সঙ্গীরা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির বদলে নতুন গাড়ি ও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। নতুন গাড়ি দিতে রাজি হলেও মিশ্র টাকা দিতে রাজি হননি। তাই তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মিশ্রর গাড়ি ও অন্য একটি গাড়ি, এবং দুই গাড়ির চালককে জাখিওরা জোর করে সঙ্গে নিয়ে যায়। পরদিন নিপকোর টেঙ্গা বাঁধের নির্মীয়মাণ প্রকল্পে হাজির হয় জাখিও। সঙ্গে ছিল ২৫ জন সশস্ত্র সঙ্গী। নিজেকে সেপার জেলা পরিষদের সদস্য পরিচয় দিয়ে জাখিও দাবি করে, দুর্ঘটনার ফলে সময় মতো টেন্ডার জমা দিতে না পারায় তাঁর পাঁচ কোটি টাকার ঠিকা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। বন্ধক রাখা ৩০ লক্ষ টাকার গয়নাও ছাড়াতে পারেননি। সেপা থেকে যাতায়াতেও বিস্তর খরচ হয়েছে। জাখাও নিপকো চত্বর থেকে আরও চারজন কর্মী ও গাড়ি চালককে ধরে নিয়ে যায়। হুমকি দেয়, নতুন গাড়ি, ৫ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা দিলে তবে ছ’জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। ৩১ মার্চ ঘটনাটি নিয়ে রুপা থানায় এফআইআর করা হয়। সিংচুং-এর এসডিপিও এবং সিংপোর ডিএসপির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এবং সিআইডি তদন্তে নামে। গত কাল জাখিওকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাকে জেরা করে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি গাড়ি মিললেও দ্বিতীয়টি মেলেনি।
অন্য দিকে, অসম সচিবালয়ের কর্মী জগদীশ দাসকে ওরাং থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি গুয়াহাটি থেকেই তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, জালুকবাড়ি এলাকা থেকে দাসকে অপহরণ করে প্রথমে উদালগুড়ি, পরে ওরাং নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয়েছিল ১ কোটি টাকা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রাক্তন বিএলটি জঙ্গিদের ‘ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র সদস্য জগদীশ বসুমাতারির সঙ্গে ঘটনার যোগ রয়েছে। ঘটনার মূল চক্রী রংপি বড়ো নামে এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে দাসের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। তাঁকে সাহায্য করেন বিএসএনএল-এর মহিলা কর্মী, অবনী বড়ো। রংপি ও অবনীর দুই ছেলে ইন্দ্রজিত্ ও দীপক জগদীশ দাসকে অপহরণ করে। পুলিশ ওরাং-এর ঘাঁটিতে হানা দিয়ে জগদীশকে উদ্ধার করে। অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৭ মার্চ কোকরাঝাড় থেকে অপহৃত রঞ্জন শীলকে সোমবার রাতে অপহরণকারীরা মুক্তি দিয়েছে। তাঁর বাড়ি ধুবুরির চাপড় এলাকায়। বন্ধুদের সঙ্গে ফেরার পথে চৈবাড়ি থেকে ২২ বছরের রঞ্জন ও তার বন্ধু জুলফিকর মণ্ডল, বিট্টু পোদ্দার, বুড়া ঘোষকে অপহরণ করা হয়। মণ্ডল ও ঘোষকে সেদিনই ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। বিট্টু পরে পালিয়ে আসে। বঙ্গাইগাঁও থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের গাড়িটি। পরে কোকরাঝাড়ে রঞ্জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনায় আদিবাসী জঙ্গি গোষ্ঠীকে সন্দেহ করা হলেও পুলিশ মুক্তিপণের ব্যাপারে মুখ খোলেনি। |
|
|
|
|
|