নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
গ্রাম জুড়ে নিকাশি ব্যবস্থা মোটামুটি ভালই, পাকা নর্দমাও রয়েছে বেশ কয়েকটা। তবে গ্রামের নীচু অংশের নর্দমা, যেখান দিয়ে সারা গ্রামের নিকাশি জল যায়, সেটাই এখনও কাঁচা। বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহা গ্রামের হাল এমনই। প্রায় একশো ফুটের এই নর্দমা থেকে জল উপচে আশপাশের বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। বারবার পঞ্চায়েতের আবেদন করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে একশো দিনের প্রকল্পে এই নর্দমা পাকা করার ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত।
রণডিহা গ্রামের মাঝপাড়া গ্রামের সবচেয়ে নীচু জায়গা। ফলে সারা গ্রামের নোংরা জল এখান দিয়েই যায়। |
সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নর্দমাটি ঠিকমতো সংস্কার হয় না। ফলে বেশিরভাগই অংশই মজে গিয়েছে। উপচে পড়ছে অন্য পাড়া থেকে আসা নিকাশির জল। এই নোংরা জল ঢুকছে আশপাশের বসতবাড়িতেও। স্থানীয় ধোনা বাগদি, ভূতনাথ বাগদিরা বলেন, “সমস্যা আরও বাড়ে বর্ষাকালে। একটু বৃষ্টি হলেই নালার জল বেড়ে বাড়িতে ঢুকে যায়।” তাঁরা আরও জানান, পাড়ার পাশেই একটা বড় পুকুর আছে। বর্ষায় পুকুরের জল আর নর্দমার জল মিশে একাকার হয়ে যায়। তখন চলাচলের রাস্তা খুঁজে পাওয়ায় মুশকিল হয়ে পড়ে। তাছাড়া নোংরা জল থেকে মশা ও নানা রোগের আশঙ্কাও থাকে।
বাসিন্দারা জানান, পঞ্চায়েত তাঁদের কথায় আমল না দেওয়ায় নিজেরাই উদো্যগী হয়ে দু’একবার সংস্কার করেছেন। কিন্তু কয়েকদিন পড়েই আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যায় নালাটি। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এ অবস্থা চলতে থাকলে ওই নোংরা জল ঢুকে খুব শিঘ্রই নালার পাশের বাড়িগুলি পড়ে যেতে পারে। বিশেষত মাটির বাড়িগুলি অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু পঞ্চায়েত এখনও কেন একশো দিনের কাজে এই নর্দমার সংস্কার করেনি তা জানতে চাওয়া হলে চাকতেতুঁল পঞ্চায়েত প্রধান আভা ভট্টাচার্য জানান, এই সমস্যা বহু দিনের। দ্রুত নর্দমা পাকা করার কাজ শুরু করা হবে। |