নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বুধবার সকালে দুর্গাপুরের গাঁধীমোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে এক মোটরবাইক আরোহীকে পিষে দিয়েছিল একটি লরি। কিন্তু দুর্ঘটনা স্থলের ক্লোজ সার্কিট টিভির ক্যামেরা খারাপ থাকায় লরিটির নম্বরই পেল না পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অশোক কুমার মণ্ডল (৫৫) নামে ওই মোটরবাইক আরোহীর বাড়ি চণ্ডীদাস অ্যাভিনিউতে। পেশায় মিশ্র ইস্পাত কারখানার কর্মী অশোকবাবুর রাতে ‘ডিউটি’ ছিল। সকালে তিনি কারখানা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গাঁধী মোড়ে সবুজ সিগন্যাল পেয়ে তিনি মোটরবাইক চালান। সেই সময়ে একটি লরি সিগন্যাল ভেঙে তাঁর মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান অশোকবাবু। প্রতিবাদে তাঁর সঙ্গীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন। লরির চালককে গ্রেফতারের দাবি জানান। আধ ঘণ্টা পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কিন্তু ঘটনাস্থলের সিসিটিভি খারাপ থাকায় লরিটির নম্বর পায়নি পুলিশ। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “বাকি দুটি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, কোনও ভাবে লরিটিকে শনাক্ত করা যায় কি না।”
অপরাধ রুখতে গত বছর ফেব্রুয়ারিতেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সব বড় হোটেল, হাসপাতাল, শপিং মল কর্তৃপক্ষকে ও রাস্তার মোড়গুলিতে সিসিটিভি লাগানোর আবেদন করেছিলেন পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। তিনি জানিয়েছিলেন, অপরাধমূলক কাজকর্ম বা কোনও অঘটন ঘটলে অনেক সময়েই দেরিতে খবর পায় পুলিশ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়ে যায়। এ ছাড়াও দুষ্কৃতীরা পুলিশের নজর এড়িয়ে চলে যায়। সেক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের ধরার কাজ সহজ হবে। এরপরেই শপিং মল, হোটেল, বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়। গাঁধী মোড়েও চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। কিন্তু বুধবারের দুর্ঘটনার পরে দেখা গিয়েছে, দু’টি ক্যামেরা কাজই করছে না।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার জানান, ওই মোড় দিয়ে মিশ্র ইস্পাতের অধিকাংশ কর্মীই যাতায়াত করেন। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে ‘কপোর্রেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’র খাতে অর্থ বরাদ্দ করে বিকল ক্যামেরা দু’টি বদলে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। |